মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে লুটপাটের একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বাদীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোল্লা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামের বাবুল মোড়লের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গোহালা ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ জানায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৫ অক্টোবর মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামে সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট এবং শাহআলম নামে (৫০) এক ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান গ্রুপ ও মোড়ল গ্রুপের মধ্যে হামলা, মামলা-পাল্টামামলা চলে আসছিল।
এ ঘটনার জের ধরে গত ২৪ নভেন্বর রোববার মুকসুদপুর থানায় বাবুল মোড়লের স্ত্রী জমিলা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লুটপাটের মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোল্লাসহ তার লোকজন মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়িতে গিয়ে মামলার বাদী জমিলা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
পরে সিন্দিয়াঘাট ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোল্লা, ইউসুব শেখ, এমরান শেখ ও ফায়েক শেখকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে এ ব্যাপারে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার বাদী জমিলা বেগম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোল্লা ও তার লোকজন মামলায় হাজিরা দিয়ে এসেই আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি মির্জা আবুল কালাম আজাদ জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং চেয়ারম্যানসহ চারজন আটক করে থানায় নিয়ে যাই। পরে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।