![]() |
ছবির ইনসেটে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষানুরাগী ইলিয়াস হোসেন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৃহৎ জনসাধারনের বসবাস আশুলিয়ার ডিইপিজেড সংলগ্ন ভাদাইল এলাকায়। এখানে বসবাসকারী বেশীর ভাগ লোকই পোশাক কারখানায় কর্মরত। তাদের সন্তানদের শিক্ষার কথা চিন্তা করে তারা ছিলেন দুশ্চািন্তায়। কারণ অত্র এলাকায় মান সম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বড়ই অভাববোধ করতেন কোমল মতি শিশুদের অভিভাবকরা। আর এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য অধিকাংশ শিশুরাই শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলো।
শিল্পাঞ্চলখ্যাত সাভারের আশুলিয়া এলাকায় একটু জমিন যার আছে তিনিই চেষ্টা করেন ক"টি রুম উঠিয়ে অনায়াশে পায়ের উপর পা তুলে বসে বসে বসে খাবেন। এখানে ১১'/১২' ফুটের একটি রুমের ভাড়া সর্বনিম্ন ৩/৪ হাজার টাকা, সেখানে আর চিন্তা কি? এখানকার বেশীরভাগ মানুষের ইচ্ছা নিজের খালি জমিনে সেমি পাকা রুম করে ভাড়া দেয়া।
অার সেখানেই অত্র এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী ইলিয়াস হোসেন প্রায় নিজস্ব দেড় বিগা জমির উপর গড়ে তোলেন সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নাম করণ করেন উপমহাদেশে বিখ্যাত ওলি খাজা গরীবে নেয়াজের নাম অনুসারে খাজা গবীবে নেয়াজ প্রিপেটরী হাই স্কুল। অর্থের জন্য নয় শুধুমাত্র অত্র অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তার এই প্রয়াস।
জানাযায়, অত্র এলাকার একটি ধনাঢ্য পরিারের সন্তান ইলিয়াস হোসেন নিজের ও পারিবারিক নানা ব্যবসার পাশাপাশি রয়েছে বেশ কয়েকটি শপিংমল আছে বেশ কিছু শ্রমিক কলোনী। এছাড়াও পরিবারিক ভাবে নির্মান করেছেন বায়তুজ সুজুদ মা হনুফা জামে মসজিদ কিন্তু এত কিছুর পরেও শিক্ষার প্রতি তার অনুরাগ থেকে নিজের এক সময়ের শিক্ষক কে দিয়েই গড়ে তুলেছেন খাজা প্রিপেটরী হাই স্কুল। অত্র এলাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরমানু শক্তি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক যিনি প্রায় দীর্ঘ ২৭বছর যাবৎ শিক্ষার আলো ছড়িয়েন সেই অভিজ্ঞ শিক্ষক বিশ্বনাথ বিশ্বাস স্যারই শুধু নন মেধাবী ও উদ্যোগী তরুণ শিক্ষকদের সাথে নিয়ে প্রবীণ, প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী নবযাত্রায় শুরু করেছেন অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রয়াসে এবং মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে অত্র স্কুলটি। সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে মনােরম এক প্রাকৃতিক পরিবেশে স্কুলটি অবস্থিত। সেমিষ্টার পদ্ধতিতে শিক্ষাদান, ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ, সৃজনশীল ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে শ্রেণিকার্য চলে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করেন। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী যাতে ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলতে পারে তার জন্য স্পোকেন ইংলিস, ছাত্র/ছাত্রীরদে পড়াশােনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযােগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন-গণিত অলিম্পিয়াড, কুইজ, বিতর্ক প্রতিযােগিতা ইত্যাদিতে পারদর্শী করে গড়ে তােলা, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সুবিধার জন্য স্কুল বাউন্ডারী, প্রতিবছরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরস্কারের ব্যবস্থা, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযােগ,কোন শিক্ষার্থী যদি অসুস্থ থাকে বা চিকিৎসাধিন থাকে তখন সেই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ৫০% ব্যায় প্রতিষ্ঠানটি বহন সহ রয়েছে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ পাঠাগার, বিজ্ঞানাগার ও অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাবসহ পুরো বিদ্যালয়টি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
এ ছাড়াও বিগত বছর গুলোতে রয়েছে খাজা গরীবে নেওয়াজ প্রিপারেটরি হাই স্কুলের বাের্ড কর্তৃক পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি তে A+ সহ শতভাগ পাশের রেকর্ড আর এমন চমৎকার সব অয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে এলাকায় বিদ্যালয়টি ব্যপক সুনাম কুড়িয়েছে। তারা সত্যিই নিরবেই শিক্ষার আলোছড়িয়ে দিচ্ছে।
অত্র বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্শীদের অভিবাবকদের সাথে আলাপকালে তারা এই প্রতিবেদককে জানান তাদের সন্তুষ্টির কথা, তারা আরো জানান দিনকে দিন তাদের সন্তানরা প্রকৃত শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি জ্ঞান বিজ্ঞানে ও সংস্কৃতমনা হয়ে প্রকৃত মানুষ হবার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে।
অত্র বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্শীদের অভিবাবকদের সাথে আলাপকালে তারা এই প্রতিবেদককে জানান তাদের সন্তুষ্টির কথা, তারা আরো জানান দিনকে দিন তাদের সন্তানরা প্রকৃত শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি জ্ঞান বিজ্ঞানে ও সংস্কৃতমনা হয়ে প্রকৃত মানুষ হবার লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস হোসেন জানান, আমি অর্থের জন্য নয় শিক্ষার আলো ছড়াতেই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। আমার লক্ষ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।