টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মাদক মামলায় রাতে পুলিশের হাতে পিতা গ্রেফতার হওয়ার পর দিন সকালে ছেলের গলা কাটা লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়ার কুষ্টিয়া গ্রামে। হত্যা কান্ডের শিকার কিশোরের নাম মো. বিপ্লব মিয়া (১৫)। সে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ার মো. উজ্জল মিয়ার ছেলে। হত্যা কান্ডের বিষয়টি নিশ্চত করেছেন নাগরপুর থানার ওসি আলম চাঁদ।
নিহতের মামা জুয়েল মিয়া জানান, তার ভগ্নিপতী উজ্জল মিয়া স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করে। বিজয় দিবসের ছুটিতে পরিজন নিয়ে রবিবার (১৫ডিসেম্বর) গ্রামের বাড়ীতে আসে সে।
মাদক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা আসামী উজ্জল মিয়াকে নাগরপুর থানা পুলিশ সোমবার (১৬ডিসেম্বর) সন্ধায় কাঁচপাই মোড় থেকে গ্রেফতার করে।
স্বামীর গ্রেফতারের খবর শুনে স্ত্রী বীথি আক্তার ছেলে বিপ্লবকে বাড়ীতে রেখে ওই রাতে নাগরপুর থানায় স্বামীকে দেখতে আসে। বাড়ী ফিরে ছেলে বিপ্লবকে না পেয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোজ খবর নেওয়ার পর কোন সন্ধান না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পর দিন সকালে বীথি আক্তার তার স্বামী উজ্জল মিয়াকে মুক্ত করার জন্য টাঙ্গাইল আদালতে চলে যায়।
এ দিকে মঙ্গলবার (১৭ডিসেম্বর) দুপুর বারোটার দিকে ধুবড়িয়ার কুষ্টিয়া বিলের মাঠে ছেলে বিপ্লবের গলা কাটা মরদেহ পরে থাকার খবর পায়। পরে ঘটনাস্থল পৌছে নিহত বিপ্লবের লাশ তার মামা জুয়েল মিয়া সনাক্ত করে। এ সময় স্বজনদের আহাজারী ও আর্তনাদে সেখান কার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। সন্তানের গলা কাটা লাশ দেখে বার বার মূর্ছা যাচ্ছে মা বীথি আক্তার। তবে হত্যার কারণ জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, অজ্ঞাতনামা দূর্বৃত্তরা সোমবার রাতে বিপ্লবকে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ কুষ্টিয়া বিলের পাশে নির্জন মাঠে ফেলে রেখে যায়। লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।