সাভার প্রতিবেদকঃ
গত ২৮ ডিসেম্বর সাভারের জামসিং এলাকায়
পরিত্যক্ত একটি ভবনে অজ্ঞাত নারীর লাশ, হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয় । বিষয়টি তদন্ত করতে নেমে পুলিশকে দারুণ বেগ পেতে হয়। নিজেদের মধ্যে প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে এটা শুধু হত্যাকান্ড নয়, আরও অপরাধ জড়িয়ে আছে? তার উপর পুলিশ সুপারের তদারকি, চাপ বাড়িয়েছে কয়েকগুন। যাই হোক, সব দিক মাথায় রেখে তদন্ত শুরু করেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ। দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই মলয় কুমার সাহাকে।
পরিচয় অজ্ঞাত তাই প্রথমে নারী পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা। নানা কৌশল ও প্রযুক্তির সহায়তা অবশেষে অল্প সময়ের মধ্যেই পরিচয় মিলল অজ্ঞাত নারীর। তার নাম টুকটুকি বেগম।
সাভারে হকার স্বামী মিল্লাত মিয়ার সঙ্গে জামসিং এলাকায় বসবাস করতেন। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়।
শুরু হল বিরতিহীন অভিযান। প্রথমে স্বামীকে টার্গেট। না, জিজ্ঞাসাবাদে সেখানে কিছু নেই। তারপর তদন্তের মোড় অন্যদিকে নজর দিলো।
গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির সূত্র ধরে সাভার ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুল ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসে। হত্যাকান্ডের কথা প্রাথমিকভাবে তারা স্বীকার করে।
আসামীরা হলো-সাভারের জামসিং এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জনি ও একই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে সেলিম। অপরজন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার লক্ষীবরদী গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জুয়েল।
রোববার দুপুরে সাভার মডেল থানা থেকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার রাতে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা বলে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এস আই মলয় কুপার সাহা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, আসামীরা কৌশলে নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে যায় ।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গত ২৮ ডিসেম্বর সাভারে জামসিং এলাকায় পরিত্যক্ত ভবন থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনার সূত্র ধরে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এস আই মলয় কুমার সাহা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর সকালে সাভারের জামসিং এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয়ে এক নারীর বস্তাবন্ধি হাত ও মুখ বাধা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ।