দুর্নীতির মহারাজা ভোলার এমপি জ্যাকব! - Meghna News 24bd

সর্বশেষ


Tuesday, February 18, 2020

দুর্নীতির মহারাজা ভোলার এমপি জ্যাকব!

 অনলাইন ডেস্ক ঃ ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সাংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বার্ষিক আয় ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে বহু। পাঁচ বছর আগে যেখানে তাঁর কোনো বন্ড, ঋণপত্র বা কোম্পানির শেয়ার ছিল না, সেখানে এবার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৪ টাকার ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির শেয়ার আছে ১২ কোটি টাকার (মধুমতি ব্যাংক)।

গত এগারো বছরে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকার অধিক অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। গত এগারো বছরে জ্যাকবের শিক্ষাগত যোগ্যতাও বৃদ্ধি পেয়েছে সীমাহীন। রয়েছে নারী কেলেংকারী অভিযোগও। নারী নিয়ে আনন্দপূর্তি করতে চরফ্যাশন গড়ে তুলেছেন বাংলো। এখানেই ঢাকা থেকে নামীদামী মেয়ে নিয়ে পূর্তি করেন এমন অভিযোগ চরফ্যাশন এলাকায়। এ বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলছে। বিস্তারিত ২য় পর্বে…

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নির্বাচনী হলফ নামায় উল্লেখ্য করেছে এইচএসসি পাস। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফ নামায় উল্লেখ্য করেছেন তিনি এমএ পাস। অর্থাৎ বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ এর সাথে সাথে তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদও জালিয়াতি করেছেন। তিনি লিখেছেন বাংলাদেশ পিপলস ইউনিভার্সিটি থেকে সোসাল সাইন্স ইন পলিটিকাল সায়েন্স বিষয়ে এমএ পাস। যাহা এই জাতির শিক্ষার সাথে চরম প্রতারণা করা হয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করলে গত একমাসে জ্যাকব তার ক্যাশিয়ার চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক চরফ্যাশন শাখার মাধ্যমে ৫২৬ কোটি টাকা বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর লাল তীরের বিভিন্ন একাউন্টে প্রেরণ করেন।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা যায়, এমপি জ্যাকব চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় কোন স্থাপনা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা কিংবা বঙ্গবন্ধু পরিবারের কোন সদস্যের নামে নামকরণ করেননি। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ওয়ার্চ টাওয়ারটিও নিজের নামে করেছেন। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা নিজের নামে পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে করেছেন। তার প্রমাণ এবার এমপিও ভুক্তির চরফ্যাশন ও মনপুরার ১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সবকটি তার নামে, তার পিতা-মাতা ও স্ত্রীর নামে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী চরফ্যাশন গিয়ে তাদের বক্তব্যে বলেছেন চারিদিকে শুধু জ্যাকব আর আর জ্যাকব। জ্যাকব ছাড়া এই এলাকায় কারো নামে কোন স্থাপনা নেই, এটা খুবই ভাল।

চরফ্যাশন এর মুসল্লিরা জানান, চরফ্যাশন এর সবচেয়ে বড় মসজিদ খাসমহল মসজিদ। এই মসজিদের মিনার উদ্বোধন করা হয় মক্কা নগরীর আমিরকে দিয়ে। পরবর্তীতে সেই মিনার এর নকশা পরিবর্তন করে করা হয়েছে জ্যাকব টাওয়ার। যাহা সম্পূর্ণ ইসলাম পরিপন্থী কাজ।

দক্ষিণ আইচার একজন চাষী জানান, আমাদের বাড়ী-ভিটা জোর করে দখল করে, এখানকার সাধারণ মানুষকে অসহায় ভেবে এমপি সাহেব প্রায় ১৫০ বিঘা জমি দখল করে তুলেছেন বিশাল খামার বাড়ী। সেখানে ঐ অঞ্চলের অসহায় পরিবারের উঠতি বয়সী সুন্দরী তরুণীদের নিয়ে যাওয়া হয় মনোরঞ্জনের জন্য। এই কাজে তাকে রসুলপুর এর মিন্টু চেয়ারম্যান নামের একজন সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। চরফ্যাশন সরকারি কলেজের সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে যাওয়া হয় খামার বাড়ীতে এমপি ও ঢাকা থেকে আগত এমপির মেহমানদের খুশি করার জন্য। এখানকার ভুয়া অধ্যক্ষ প্রভাষক কয়সর আহমেদ দুলাল ও বিউটি নামের একজন শিক্ষক এই কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। এমপি সাহেব মাঝে মধ্যেই হেলিকপ্টার যোগে তার নিজস্ব মেহমানদের নিয়ে খামার বাড়ী আসেন, বসান আসর। শুরু হয় গান বাজনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একজন অধ্যাপককে চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আদেশ জারী করেন। কিন্তু এমপি অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে ভুয়া অফিসার ইনচার্জ দুলাল কে আবার কলেজের দায়িত্ব
দেওয়া হয়।

চরফ্যাশন বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, জেলা পরিষদ এর জায়গায় এমপি সাহেব প্রায় ৫০০ দোকান তৈরী করে প্রতি দোকান থেকে তার ক্যাশিয়ার মেয়র এর মাধ্যমে ৪০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নেন। এই দোকান থেকেই এমপি নিয়েছেন ৩০ কোটি টাকা। জ্যাকব টাওয়ার এর নামে জেলা পরিষদ ও জলবায়ু ট্রাষ্ট এর ২২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। জলবায়ু ট্রাষ্ট এর টাকা ২০% করে নিয়ে তিনি ২০০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন জলবায়ু মন্ত্রণালয়। তিন হাজার কোটি টাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লক এর কাজ থেকে ২০% করে এমপি ৪০ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঠিকাদার। কাজের মান খারাপ হওয়ায় ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখেন।

জানা গেছে, ঢাকার মিরপুর সেকশন ১২, রোড-২, ব্লক-বি, বাড়ী নম্বর ২৬, পিত্রালয় নামে এমপি সাহেব গড়ে তুলেছেন বিশাল আলিশান ১২ তলা বাড়ী। যেখানে রয়েছে ৪৮ টি ফ্ল্যাট। খরচ করেছেন ১০ কোটি টাকা। স্ত্রী নীলিমা জ্যাকব বসবাস করেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিশাল আলিশান ফ্ল্যাটে। যার মুল্য ৫ কোটি টাকা

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages