অনলাইন ডেস্কঃ পিপলস লিজিং এর সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার ও প্রশান্ত কুমার হালদারকে পালাতে সহায়তা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর। কোম্পানির অনিয়ম নিয়ে মামলার শুনানিতে এ কথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। এ সময় আর্থিক খাত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেন, চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারেন না তারা।
ব্যাংক হিসাব জব্দ, পাসপোর্ট জব্দের আদেশের পর দেশত্যাগ করা ঠেকাতে চিঠিও দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও ইমিগ্রেশনে। তারপরও সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রশান্ত কুমার হালদার।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সর্বোচ্চ আদালতকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গর্ভনরের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন তিনি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সর্বোচ্চ আদালতকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গর্ভনরের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সাধারণভাবে সে বিনিয়োগকারীরা টাকা পয়সা রাখেন। তাদের স্বার্থতা দেখা একান্ত দরকার। আমার প্রশ্ন, তারা কেন পি কে হালদারকে টাকা ধার দিয়েছিল।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কর্মকর্তা পিকে হালদারকে সহযোগিতা করেছে।
শুনানিতে দেশের আর্থিক খাতের দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুরাবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। সমালোচনা করেন দুদকের ভূমিকারও।
শুনানিতে দেশের আর্থিক খাতের দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুরাবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। সমালোচনা করেন দুদকের ভূমিকারও।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, যে কোনও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে কোর্ট চোখ বন্ধ করে থাকবে না। সেটা তারা দেখবে।
পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান অবস্থা এবং ব্যাংকিং খাতের দুরাবস্থার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ডেকেছেন আপিল বিভাগ।