টেকনাফ প্রতিনিধি: অনুপ্রবেশের চেষ্টায় কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তেদেড় শতাধিক রোহিঙ্গা অবস্থান করছে বলে খবরপাওয়া গেছে। এ তথ্য উখিয়ায় ছড়িয়ে পড়লেগতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে পালংখালীইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত এলাকায়জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে মাইকিং করেস্থানীয়দের সতর্ক করে দেয়া হয়।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর
উদ্দিন চৌধুরী আমার দেশের সংবাদ কে বলেন, আঞ্জুমানপাড়ার মেদির খালনামক সীমান্তে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশবিষয়টি নিয়ে সীমান্তের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশেবিজিবির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সর্তক অবস্থানেরয়েছে। তারা অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৎপররয়েছে। তবে অনুপ্রবেকারীদের মধ্যে অনেকেকরোনা আক্রান্ত বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারাচিকিৎসার জন্য এপারে ঢুকার চেষ্টা চালাচ্ছে।
উখিয়ার পালংখালী ইউপি সদস্য সুলতান আহমদ আমার দেশের সংবাদ কে
জানান, রাতে সীমান্তে দায়িত্বে থাকা একটি সরকারিসংস্থার পক্ষে তাদের জানানো হয় বেশ কিছু রোহিঙ্গাসীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ চেষ্টা চালাতে পারে। এমনখবরে তার এলাকায় কয়েকটি মসজিদে মাইকিংকরে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে (গতকালবৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায়) এলাকার কিছুমানুষজন নিয়ে সীমান্তের পাইশাখ্যালীতে অবস্থানকরছি। ওপারের প্যারাবনের ভেতরে বেশকিছুমানুষের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। নিশ্চিত হওয়া গেছেনবী হোসেন নামক এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ এসবরোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।তবে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। করোনাভাইরাসসংকটের সময় নতুন করে কোনও রোহিঙ্গা ঢুকতেদেওয়া হবে না।
এদিকে কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েলআহমদ তার ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে লিখেছেনসন্ধিগ্ধ করোনায় আক্রান্ত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বর্মাথেকে চিকিৎসা নিতে পালংখালী ও হোয়াইক্যংসীমান্তে এসে পৌঁছেছে। দেশ রক্ষায় সবাই সজাগথাকুন। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মাইকিং হচ্ছেউলুবনিয়া সীমান্তে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। এলাকারমানুষ ওদের প্রবেশের রাস্তা ঘাট বন্ধ করে দিন এবংপ্রশাসনকে সহযোগিতা করুন।
উখিয়া সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের একটি দলবাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়টি সম্পর্কে কক্সবাজারবিজিবি-৩৪ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেলআলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, আঞ্জুমানপাড়ায় বিজিবি সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।নতুন করে কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেয়াহবে না।
উল্লেখ্য, উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২০১৭সালে ২৫ আগস্টের পর দলে দলে রোহিঙ্গাবাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। তারা এখন উখিয়াও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে রয়েছেন। বর্তমানেকক্সবাজারে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগলোতেঅবস্থান করছেন।