সাইদুর রহমান রিমন : সহকর্মি হুমায়ুন কবীর খোকনের সাংবাদিকতায় যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার মাধ্যমে। ওই সময়ে ভার্সিটিতে অধ্যায়নরত হালকা গড়নের হুমায়ুন কবীর কাপড়ের একটি সাইড ব্যাগ ব্যবহার করতেন, যথেষ্ঠ পরিশ্রমীও ছিলেন। পায়ে হেটেই অবিরাম ছুটে বেড়াতে দেখা যেতো তাকে। শুরুতে শিক্ষা বিষয়ে নানা প্রতিবেদন করলেও পরবর্তীতে জেনারেল বিটে বেশ তৎপর ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে মানবজমিন হয়ে আমাদের সময়ে যোগদান করেন হুমায়ুন কবীর খোকন।
অহমিকামুক্ত হুমায়ুন কবীরকে বরাবরই দেখেছি তার সংবাদ ঘ্রাণ শুকতে পারা নাকটি ছিল খুবই সক্রিয়। যে কোনো ঘটনাতেই একাধিক এ্যঙ্গেল থেকে সংবাদ তৈরির দারুণ দক্ষতা ছিল তার। হঠাৎ করেই তার তারুণ্যতায় ভারিক্কি ভাব দেখতে পাই, কথাবার্তাও বলতেন ধীরলয়ে। হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হতো বহুদিন পর পর। দেখা হলে কথাবার্তা আচরণে তা বোঝার কোনো উপায় ছিল না।
মুখোমুখি হলেই হাত বাড়িয়ে করমর্দন করেই কাছে টেনে বুকে বুক মেলাতেন, প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেন : 'চলছে তো ভালই তাতো দেখতেই পাচ্ছি-কিন্তু আপনি আছেন কেমন সেইটা বলেন?
আজ থেকে সেই অধিকারে কথা বলার মতো বন্ধুজন হুমায়ুন কবীরকে আর দেখতেই পাবো না-বিষয়টি ভাবতেই বুকটা হু হু করে কেঁদে উঠছে। চলে যাচ্ছো যাও ভাই-তোমার পথ ধরে আমরাও আসছি, অন্তহীন সময়ের জন্য...
লেখক. চিপ-ইন-ক্রাইম বাংলাদেশ প্রতিদিন