নাটোর জেলা প্রতিনিধি : নাটোরে কৃষক নির্যাতনের অভিযোগে লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার নাটোর জেলা পুলিশের একটি দল পাবনার ঈশ্বরদী থানা এলাকা থেকে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে।
সম্প্রতি নাটোরের লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের মৃত চয়েন উদ্দিনের ছেলে কৃষক শহিদুল ইসলাম (৫৫) সরকারি সেবা হট নম্বরে ফোন দিয়ে জানান, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এই গ্রামের অনেক কৃষক কর্মহীন হয়ে খাদ্য সংকটে রয়েছেন। জ্ঞাত হয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বাণীন দ্যুতি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তারকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সাত্তার ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজা ও জনৈক রুবেল গত রবিবার কৃষক শহিদুলকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে মারপিট করেন। এ ব্যাপারে গত বুধবার লালপুর থানায় মামলা হয়।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বাণীন দ্যুতি বলেন, ‘ওইদিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে খোঁজ-খবর নিয়ে ত্রাণ প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করি। কিন্তু চেয়ারম্যান আমাকে জানান, ত্রাণ প্রদানের প্রয়োজন নেই। পরে রাতে স্থানীয় সূত্রে জানতে পারি, দুপুরে ত্রাণ প্রত্যাশী শহিদুলকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল সকালে আমি কৃষক শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ প্রদান করি এবং সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেই। ওইদিন চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ এর ৩৪ ধারায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনস্বার্থবিরোধী কাজ করার অভিযোগে কারণ-দর্শানোর নোটিশ প্রদান করি।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম রাব্বি জানান, অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করার অভিযোগে বরখাস্তের প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. রেজা এবং কৃষক নির্যাতনের সহযোগী মো. রুবেলকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।