মোল্লা জালাল : করোনা ভাইরাসের এই মহামারির সময়ে সাংবাদিক শ্রমিক কর্মচারিদের পেটে লাথি মেরে, প্রনোদনা না দেওয়ার দায় সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিজেরা অারাম আয়েসে থাকার কুমতলব পরিহার করুন। সংবাদপত্র বন্ধ করলে আপনি নিজেই বিপদে পড়বেন।
প্রচলিত আইনে সংবাদপত্রের ডিক্লারেশনের কতগুলো শর্ত আছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সংবাদপত্রের প্রকাশনা অব্যাহত রাখা। এটা নিশ্চিত করার জন্যই বড়-ছোট প্রতিটি সংবাদপত্রের প্রতিদিনের প্রকাশিত কপি ডিসি অফিসে জমা দিতে হয়। কোন যৌক্তিক কারনে কোন সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ করতে হলে আইনানুযায়ী লে-অফ ঘোষনা করতে হবে।
তারও সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। এটা মুদি দোকান নয় যে, মন চাইলো বন্ধ করে দিলাম। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি সংবাদপত্র ডিক্লারেশন পেয়েছে প্রিন্ট ভার্সনের জন্য। জানামতে, সারাদেশে একটি সংবাদপত্রেরও অন লাইন ডিক্লারেশন কিংবা লাইসেন্স কিংবা আইনানুগ অনুমতি নেই। তার পরও সকল সংবাদপত্রের প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি একটি করে অনলাইন ভার্সন আছে। বর্তমানে করোনা মহামারির এই দূঃসময়ে অনেক মালিক প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ করে সাংবাদিক শ্রমিক কর্মচারিদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে অনলাইন ভার্সন চালু রেখে আনন্দে বগল বাজাতে শুরু করেছেন। এ আনন্দ বিষাদে পরিনত হতে এক মিনিটও সময় লাগবে না।
সবাই জানে ইতিমধ্যেই তথ্যমন্ত্রনালয়ে দেশের ছোট-বড় সকল সংবাদপত্র তাদের অনলাইন ভার্সনের ডিক্লারেশন বা লাইসেন্স কিংবা অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন। সরকার এখনো অনলাইন মিডিয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু করেনি। তার সহজ মানে হচ্ছে যেভাবে চলছে তা বেআইনি।
এমতবস্থায় সংবাদ কর্মীদের বলবো, যে যে মালিক বেআইনিভাবে সংবাদপত্রের প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছে তাদের ব্যাপারে এক্ষনি ডিসি অফিসে লিখিত নালিশ করুন। প্রয়োজনে কোন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করুন। প্রচলিত লেবার 'ল'তে এ বিষয়ে করনীয় বলা আছে। ডিসি অফিসে নালিশ করে এক কপি তথ্য মন্ত্রনালয় ও সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন।
আমরা এই আপৎকালে মালিক-শ্রমিক ঐক্যবদ্ধভাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষাসহ তাদের জীবিকা নিশ্চিত করার মধ্যেদিয়ে এই শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় বিশ্বাসী।
লেখক : সাংবাদিক নেতা(তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া)