সাইদুর রহমান রিমন : সুখের বোধকরি সীমা, পরিসীমা থাকে না, কিন্তু দু:খ-কষ্টের একটা শেষ থাকে। সেই সীমা অতিক্রম করলে মানুষ সহ্যহীন হয়ে পড়ে, ধৈর্যহারা হয়। এর ফলশ্রুতিতে কখনও সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, কখনও সে প্রতিবাদী হয়ে উঠে। বলছিলাম ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের কথা। ক‘দিন আগে বাংলাদেশ প্রতিদিন মানবিক পুলিশ নিয়ে রকমারীর এক পাতা জুড়ে খুবই পাঠকনন্দিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনের একাংশে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি হাবিবুর রহমানের হিজড়া, বেদে ও পতিতাপল্লী কেন্দ্রীক মানবিক কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণও তুলে ধরা হয়। সেই প্রতিবেদন হুবুহু কপি করে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের নিজস্ব ফেসবুক পাতায় যুক্ত করে ব্যাপকভাবে প্রচারও করা হয়। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে আমাদের সময় নামে প্রকাশ করা হয়।
বিষয়টি বারবার জানানো সত্তেও তা সংশোধন করছেন না। অতিমাত্রায় মানবিকতার কাজ করতে গিয়ে গোটা রেঞ্জ পুলিশই কি তাহলে অন্যদিকে মনোনিবেশ করতে পারছেন না? হিজড়া, বেদে, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতে করতে আমাদের কোনো দক্ষ পুলিশ অফিসার অতি মানবিকতা দেখাতে গিয়ে বাকি সব হারিয়ে ফেলেন তা আমরা কখনই চাই না।
শ্রদ্ধেয় ডিআইজি সাহেব, এক সপ্তাহে যদি আপনার মেইল আইডিটা চেক করা না হয় তাহলে দেশে কিসের ডিজিটাল বাংলাদেশ চলে? ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের ফেসবুক পাতাটাই বা কোন্ ভুতে চালায়? যিনি প্রতিবাদ বোঝেন না, বাংলা ভাষা বোঝেন না? নাকি আমাদের সময়‘র অন্ধ প্রীতি পেয়ে বসেছে তাদের? কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা না শিখেন আপত্তি নেই, কারো মর্যাদা কর্তন করার কুশিক্ষা ঝেড়ে ফেলাটা জরুরি
।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক (চিপ-ক্রাইম, বাংলাদেশ প্রতিদিন)