টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে তাই খাদ্যের অভাবে কেউ না খেয়ে মরবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
মন্ত্রী বলেন, দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই। আমাদের ১৫ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। করোনা সংকট ও তার পরবর্তী সময়ে বিশ্বে খাদ্য মন্দা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের যে সঙ্কা তা কাটিয়ে উঠতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে হবে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষি প্রণোদনায় ৪শতাংশ সুদে ৫হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রান্তিক চাষি পর্যায়ে এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার(১লা মে) মধুপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত মিলনায়তন কক্ষে অনুষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেটের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য উন্নয়ন সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে উন্নয়ন সহায়তা প্রাপ্ত কৃষকদের মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ শীর্ষক অনুষ্ঠান ও মধুপুর পৌর এলাকার একাধিক ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী ওইসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ, উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) এমএ করিম, সহকারি পুলিশ সুপার(মধুপুর সার্কেল) কামরান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ নাসির, মহিলা ভাই চেয়াম্যান যষ্ঠিনা নকরেকসহ স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ।
কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, সারাদেশেই এবছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। হাওর অঞ্চলে এবছর বড় কোন দুর্যোগ না হওয়ায় প্রায় ৭৫ভাগ ধান কাটা শেষ। সরকার ধান কাটার জন্য আধুনিক হারভেস্টার মেশিন এবং পর্যাপ্ত শ্রমিকের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের হাওর অঞ্চল ছাড়াও সমতলেও এবছর ধানের ভালো আবাদ হয়েছে। তাই দেশে খাদ্যের কোন সংকট হবার সম্ভাবনা নেই।
মন্ত্রী বলেন, উৎপাদন খরচের তুলনায় উৎপাদিত কৃষি পণ্যের দামে কৃষক বঞ্চিত হন। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে লাভজনক করার লক্ষ্যে কৃষক পর্যায়ের প্রণোদনায় ২শ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, সারা বিশ্বের ন্যায় করোনা দুর্যোগ আমাদেরও আক্রমণ করেছে। সবকিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। এই মহা সংকট থেকে পৃথিবী ও আমাদের মোকাবেলা করে রক্ষা পেতে হবে। রক্ষা পাবই ইনশাআল্লাহ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি। সুখ দুঃখ আমরা সবাই ভাগ করে বাঁচতে চাই। আবারও আমাদের দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগোবে বলেও মন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
পঙ্গপাল নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ সম্পর্কে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। এরকম একটি খবর পেয়ে আক্রমণ স্থলে বিশেষজ্ঞ গবেষক দল পাঠানো হয়েছে। তাদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে শেষে কৃষিমন্ত্রী মধুপুর উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামের জনৈক কৃষক মনিরুজ্জামানের হাতে ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ১৪ লাখ টাকায় মালিকানা বুঝিয়ে দেন। এর পর মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কৃষিমন্ত্রী ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার ৬হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে পৌরসভার ৬শত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।