মঙ্গলবার (০৫ মে) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে ভবনের ১১ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। শত শত অগ্নিনির্বাপণ কর্মী সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। অগ্নিকাণ্ডে ভবন ধসে রাস্তায় থাকা গাড়ি ওপর পড়ছে।
শত শত অগ্নিনির্বাপণ কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনের তীব্রতা এত বেশি যে তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। শতাধিক মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। বিবিসির প্রতিবেদনে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের খবর জানানো হয়েছে।
শারজাহ টাওয়ার ৪৮ তলা বিশিষ্ট। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। কি কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সে সম্পর্কেও কোনো ধারণা পায়নি দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শারজাহ টাওয়ারের আশপাশের পাঁচটি ভবন খালি করা হয়েছে।
২০০৬ সালে নির্মিত এই আকাশচুম্বী ভবনের ৩৬টি তলা আবাসিক। প্রত্যেক তলায় ১২টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটির প্রায় সকল তলা ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে। ভবনে লাগা আগুনসহ বিভিন্ন বস্তু উড়ে গিয়ে আশপাশের কয়েকটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ওইসব ভবনের প্রথমে ছাদের উপর আগুন লেগে কিছুক্ষণ পর থেমে যাওয়ায় ভবনগুলো রক্ষা পায়।
এছাড়া ওই ভবনের নিচ তলায় পার্কিং করে রাখা বেশকিছু গাড়ি পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দমকল বাহিনী এই অগ্নিকাণ্ডকে শুধু দুর্ঘটনা নয় মারাত্মক বিপর্যয় হিসেবে অভিহিত করেছে।