যশোর প্রতিনিধি : ঢাকা থেকে নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে বেনাপালের সাদীপুর সীমান্তবর্তী একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
আজ রোববার সকালে বেনাপোল রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার আশেক আলী সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর ছেলে মনোরম পলকের সঙ্গে প্রথম কথা বলেন কাজল।
আশেক আলী বলেন, ‘সাংবাদিক কাজলকে গতকাল রাতে টহল দলের বিজিবি সদস্যরা সাদীপুর সীমান্তের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করেন। বিজিবি পরে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে তাঁকে সোপর্দ করে। কাজলের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে রাতেই তাঁকে নিতে বেনাপোলের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। কাজলের সঙ্গে তাঁর ছেলের কথা হয়েছে।’
সাংবাদিক কাজল এখন বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান আমার দেশের সংবাদ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক কাজলকে বিজিবি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৫। বিজিবির বক্তব্য, তাঁকে সীমান্ত পিলারের ১০০ গজের ভেতর থেকে আটক করা হয়েছে। সে জন্য বিজিবি ভেবেছে, তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছেন।’
মামুন খান বলেন, ‘আমরা কাজলকে সিজেএম কোর্টে পাঠাব। তারপর কোর্ট জামিন দিয়ে তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন নাকি জেলে দেবেন, সেটা কোর্টের সিদ্ধান্ত।'
গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুল এলাকার নিজ কর্মস্থল থেকে বের হওয়ার পরপরই নিখোঁজ হন কাজল। কোনো সন্ধান না পেয়ে ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী নয়ন। ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শফিকুল ইসলাম কাজলকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দেওয়ার দাবি জানায় তাঁর পরিবার।
সাংবাদিক কাজল নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর সন্ধানের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কয়েক দফা কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিক সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।
তবে নিখোঁজের বেশ কয়েক দিন পর সাংবাদিক কাজলের ফোন নম্বরটি বেনাপোলে চালু হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মুন্সী আবদুল লোকমান।