অনলাইন ডেস্ক : সর্বকালের সেরা যৌনাবেদনময়ী হলিউড নায়িকা মেরিলিন মনরো। মৃত্যুর সপ্তাহখানেক আগে জোর করে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়েছিলো।
মার্কিন প্রেসেডেন্ট জনএফ কেনেডির ছোট ভাই রবার্ট কেনেডি ববি তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গর্ভপাত ঘটান। ববি তখন আমেরিকার এটর্নি জেনারেল ছিলেন।
এমন দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি প্রকাশিত মনরোর এক জীবনীগ্রন্থে। এ নিয়ে ৫৮ বছর পর শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক!
‘নরমা জিন: দ্য লাইফ অব মেরিলিন মনরো’ শীর্ষক গ্রন্থটি লিখেছেন ফ্রেড লরেন্স গিলস। গেল ১৯ এপ্রিল বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
মনরো মারা যান ১৯৬২ সালের ৪ আগস্ট। পুলিশ তার বাড়ি থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করেছিলে। তখন বলা হয়েছিলো অতিরিক্ত নেশা গ্রহণ করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন! মার্কিন সরকার এমন প্রচারই করেছিলো।
যদিও মনরোর মৃত্যু নিয়ে তখন মার্কিন গণমাধ্যমে প্রশ্ন তোলা হয়েছিলো। তার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হতাকাণ্ড বলেও ঈঙ্গিত দেয়া হয়েছিলো। প্রেসিডেন্ট জনএফ কেনেডির সাথে মনরোর প্রেমের কথাও প্রচার করা হয়েছিলো।
মনরোর প্রেস এজেন্ট আর্থার পি জ্যাকবকে উদ্ধৃত করে বইটিতে বলা হয়েছে, কেনেডির
ছোট ভাই ববি কেনেডি ২০ জুলাই গোপনে তাকে ভর্তি করেন লস এঞ্জেলসের
সিডারস অব লেবানন হাসপাতালে। সেখানেই ২২ জুলাই তার গর্ভপাত ঘটানো হয়।
বইটিতে বলা হয়েছে, মনরো তখন তিন মাসের গর্ভবতী। তাই কেনেডিকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। বিয়ে না করলে সব ফাঁস করে দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছিলেন।
মনরোর দ্বিতীয় স্বামী জোয়ি ডিম্যাজ্জিও বলেছেন, কেনেডি একজন লেডি কিলার! তার প্রাক্তন স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য তিনিই দায়ী। তিনি আরও বলেন, আমি আগে থেকেই জানতাম মনরোকে কেনেডিই হত্যা করেছেন। কিন্তু এতবছর আমি চুপ ছিলাম। কারণ, দেশে কোনো বিপ্লব ঘটাতে চাইনি।
বইটিতে দাবি করা হয়েছে, মৃত্যুর ঠিক কিছুক্ষণ আগে মনরো কেনেডিকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু কেনেডি ছিলেন নিরুত্তর।