কে এম হামিদ রঞ্জু : "সাভারের রাজনীতির উল্লেখযোগ্য ইতিহাস। "
১৯৫৪ থেকে ৫৮ সাল মাত্র চার বছরের মাথায় ৭অক্টোবর
পাকিস্তানে প্রথম সামরিক আইন জারি করা হয়।সত্যি কথা হলো পাকিস্তানের জন্ম লগ্ন থেকেই শাসন ক্ষমতার ইতিহাস হচ্ছে রাজনীতিবিদদের প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের,আমলাতন্ত্রের, ক্ষমতালিপ্সার আর বাঙ্গালীদের অধিকার হরনের।
তারই ধারাবাহিকতার রেশ টেনে যাচ্ছি বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতেও।সঘোষিত ফিল্ড মার্শাল জেনারেল আইয়ূব খান সামরিক শাসন জারি করার
পর এক উদ্ভট গনতন্ত্রের জন্ম
দেয় তার নাম দেয়া হয় "মৌলিক গণতন্ত্র " বা ব্যাসিক
ডেমোক্রেসি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট পূর্ব পাকিস্তানের
মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করেন ধামরাইয়ের আতাউর রহমান খান সাহেবকে।তিনি ক্ষমতায়
এসেই ঢাকা আরিচা মহা সড়কের টেন্ডার দিয়ে কাজটি
করিয়ে নেন।আজকের এশিয়া মহা সড়কের সবচেয়ে
বড় অবদানই আতাউর রহমান সাহেবের, তিনি তখন
আওয়ামী মুসলিম লীগ করতেন।ঐ সময়ে সাভারে যারা জাতীয় রাজনীতির সাথে
জড়িত ছিলেন তাদের মধ্যে
ভাকুর্তার মৌ: সিরাজুদ্দীন এবং সাভারের গেন্ডার কবির উদ্দিন খান তারা মিয়ার
নাম পাওয়া যায়।আগেই বলেছি পাকিস্তান ছিল একটি
সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ঐ সময়ের
একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সাভার অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম প্রধান শিক্ষক নিয়োগ
দেয়া হয় জনাব মুজিবুর হক
সাহেবকে।এর আগে ইস্কুলের
জন্ম লগ্ন থেকেই হিন্দু প্রধান
শিক্ষক ছিলেন ধারাবাহিক ভাবে।মুসলিম প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিরোধিতা করেন
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ছাত্র
ও অভিভাবকরা,তারই জেরে
ঐ সময়ে দুইজন মুসলিম ছাত্রকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠানো হয়।ঐ দুইজন ছাত্র ছিলেন অত্র ইস্কুলের নয়ার হাটের আতাউর রহমান ও আব্দুর রশিদ। এই ছাত্রদের হাজত থেকে ছাড়িয়ে আনেন মৌ:
সিরাজুদ্দিন ও কবির উদ্দিন খান(তারা মিয়া) যিনি আশরাফ উদ্দিন খান ইমুর পিতা।১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনের শুরু আর শেষ হয়
১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের উভয় অংশের প্রবল ছাত্র -গণ আন্দোলনের মুখে।ঐ গান আন্দোলনের মাধ্যমেই
প্রথম আত্মপ্রকাশ করে সাভারের ছাত্র রাজনীতি এবং
তার প্রথম উদ্যোক্তা আশরাফ উদ্দিন খান ইমু ও আমি আরও যারা ছিলেন অনু কৃষ্ণ সাহা,নৃপেন সাহা এরা যদিও
নেতৃত্বে ছিলেন না তবে মিটিং
মিছিলে যোগ দিতেন।(চলবে)