![]() |
ফাইল ছবি |
আমার দেশের সংবাদ ডেস্কঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করে কোটি বাঙালির মনের আশা পূরণ করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বাষির্কী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে “বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যোগ্যতার দিক থেকে বিশ্বের দরবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনন্য শিখরে পৌঁছেছেন । সারাবিশ্ব এখন তাকে ১০ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতার একজন বলে মনে করে। বঙ্গবন্ধু যা চিন্তা করতেন, বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর রক্ত তার ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে বলেই আজ তিনি দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এ দেশকে, দেশের মানুষকে জীবন দিয়ে ভালোবাসতেন। তিনি ইসলাম ধর্মকে ভালোবাসতেন। ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্মকে তিনি কখনো ছোট করে দেখেননি। তিনি কাকরাইল মসজিদকে ইসলাম চর্চার জন্য সম্প্রসারিত করেছিলেন, তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলেন।
আজ অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর আলহাজ্জ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী এমপি, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ ও কমপ্লেক্সের খতিব মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনস্ত মসজিদসমূহের ইমাম, খতিব শিক্ষক ও ফিল্ড সুপারভাইজাররা যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্রান্ড ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।