আমার দেশের সংবাদ ডেস্ক : কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী আর নেই। রবিবার (৯ আগস্ট) বিকালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)।
এর আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শনিবার (৮ আগস্ট) ভোরে রাজধানীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই সংগীতজ্ঞকে। এরপর থেকে হাসপাতালটির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে তাকে রাখা হয়েছে। কিন্তু অবস্থার আর কোনও উন্নতি হয়নি।
তার কন্যা আলিফ আলাউদ্দিন আমার দেশের সংবাদ কে জানান, শনিবার ভোরে হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করা হয় বাবাকে। ভর্তির পর করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু ফলাফল আজ দুপুরে নেগেটিভ পাই। এটা আমাদের জন্য স্বস্তির খবর ছিল। কিন্তু পালস পাওয়া যাচ্ছিলো না। ক্রমশ অবনতি হচ্ছিলো। চিকিৎসকরা তেমন কোনও আশা দিতে পারেনি। তবু একটা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। যেটা আগামীকাল পাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই তো চলে গেলেন। সবার কাছে আমার বাবার জন্য দোয়া চাই।’
২০১৫ সালের জুন মাসে আলাউদ্দিন আলীর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি কয়েক দফায় বিদেশেও চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এরপর থেকে তিনি আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি। ফিরতে পারেনি স্বাভাবিক জীবনে, সংগীতে।
আলাউদ্দিন আলী বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার। এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। তার সুর করা গানের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি।