অনলাইন ডেস্ক : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হল মালিকদের সহায়তার জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।‘ তিনি আরো বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোনো কোনো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে, আবার কেউ কেউ সিনেমা হলকে বিপণিবিতানে রূপান্তরিত করেছেন। এখন ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হল মালিক যদি আবার হল চালু করতে চান বা তাঁর সিনেমার হলের ব্যবসার উন্নয়ন ঘটাতে চান তাহলে তাঁকে এই তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া যাবে।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে মোট পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সভায় যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মন্ত্রী জানান, একনেক পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে দুই হাজার ৫৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে এক হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে প্রকল্প সাহায্য এক হাজার দুই কোটি ৪২ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল ব্যয় করা হবে ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এর মধ্যে ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পূনর্বাসন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন নামে একটি প্রকল্প রয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো জানান, ডিপিডিসির প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে ডিপিডিসির এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন ও স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সরকার চায় কোনো প্রকল্পে একটি টাকাও যেন অযৌক্তিকভাবে খরচ না হয়। বরং, আমরা চাই যৌক্তিকভাবে বেশি টাকা ব্যয় হোক। কারণ, খরচ কমালে অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিধারা ব্যহত হয়। প্রকল্পের ব্যয় যথাপোযুক্ত করার পাশাপাশি যে কোনো ধরনের অপব্যবহার যেন না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।’ তিনি বলেন, প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া মানে কিন্তু ফাঁকা চেক বা ‘ব্ল্যাক চেক’ দিয়ে দেওয়া নয়। বাস্তবায়নকারী সংস্থা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। তিনি বলেন, আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের খবরদারি করতে চাই না, বরং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখি।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে গবেষণা আরো বাড়াতে বলেছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী তরুণদের বেশি করে বিদেশি ভাষা শেখার তাগিদ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তরুণদের কেবল বাংলা বা ইংরেজি জানলে হবে না। সঙ্গে ফ্রান্স, জার্মানি, স্প্যানিশ এবং চাইনিজ ভাষা শিখতে হবে। তাহলে ফ্রি ল্যান্সিংয়ের কাজ বেশি বেশি পেতে সুবিধা হবে।