নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে মারপিটের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। চাঁদার জন্য ঐ ব্যবসায়ীর ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের আট দিন পার হলেও আসামিদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণেই আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে—রাজু ও নয়ন ব্যবসায়ী সোহেল রানাকে মারধর করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা ছাত্রলীগ মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজুকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এই ঘটনা ছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ীদের মারপিট করার আরো বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মহাদেবপুর উপজেলা সদরের আরএফএল ভিগো শোরুমের স্বত্বাধিকারী সোহেল রানা নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদের নেতৃত্বে তার সহযোগী নয়নসহ আরো ছয়-সাত জন ঐ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে গিয়ে সিসি ক্যামেরা বন্ধ করেন। এরপর রাজু ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে সোহেল রানাকে তার নিজ প্রতিষ্ঠানের ভেতর ব্যাপক মারপিট করা হয় এবং ক্যাশ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেলসহ সোহেল রানাকে তুলে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও লাঠিসোঁটা, রড দিয়ে মারপিটের সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রাজু আহম্মেদ ও তার সহযোগী নয়নসহ আরো ছয়-সাত জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও আট দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রিজভী জানান, চাঁদাবাজি ও মারপিটের ঘটনায় মহাদেবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদকে স্থায়ী বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া চলছে। তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিকুল আক্তার বলেন, রাজু পলাতক। তাদের সন্ধান চলছে। তবে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।