আশুলিয়া প্রতিনিধি : নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনকে প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এনে ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকার ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ভবনের মেজর এটিএম হায়দার বীরউত্তম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশিচত করেছেন।
ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম চৌধুরীসহ আরও অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দিয়ে ২০০২ সালের ৩ আগস্ট গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড তার আচার-আচরণ দেখে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় ট্রাস্টি বোর্ড গোপনে মো. দেলোয়ার হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে তদন্ত করেন এবং জানতে পারেন তিনি মাস্টার ডিগিধারী বা গ্রাজুয়েটও নন। তিনি এইচএসসি পাস মাত্র। বায়োডাটায় ভুয়া মাস্টার ডিগ্রি দেখিয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়কে ধোঁকা দিয়েছেন। বিষয়টি টের পেয়ে রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন তার অফিসে রক্ষিত ব্যক্তিগত ফাইল গায়েব করে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেনকে ভাউচারসহ যে কোন অনুমোদন, ব্যাংক চেকে স্বাক্ষরসহ সকল অফিসিয়াল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। নতুন চেক সিগনেটরি নির্ধারণ করা হয় উপাচার্য ডা. লায়লা বানু ও একাউন্স এন্ড ফিন্যান্সের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. আব্দুল কাদেরকে।
জানা যায়, মো. দেলোয়ার হোসেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রায় ২০ বছর কর্মরত রয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছেন বলে দাবি করতেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উচ্চতর প্রশাসনিক পদেও বিশেষ করে পরিচালক প্রশাসন/নির্বাহী পরিচালকের পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকাকালীন সময়ও নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে।