ডেস্ক নিউজ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি'র ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। দলটি এমন একটি সময় ৩১ বছরে পা রাখলো যখন সারা বিশ্ব সহ বাংলাদেশে কোভিট-১৯ (করোনা) লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছে কোটি কোটি মানুষ। এছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চল সহ বিভিন্ন জেলায় বন্যা কবলিত হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছেন। তাদের পাশে দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর আহবান জানান। গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে, সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও রাজনীতিক জননেতা আনোয়ার জাহিদের নেতৃত্বে এনডিপি‘র প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে বর্তমান চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে দলের দুর্যোগ সময়ে খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা এনডিপি‘র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে এনডিপি‘র ২৫ বছর বেশ জাগজমকভাবে উৎযাপিত হয়। এর কিছুদিন পরই আবারো দলে সংকট দেখা দেয়। সেই সংকট কাটিয়ে বর্তমানে এনডিপি সারা দেশব্যাপী শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত হচ্ছে। জাতীয় রাজনীতিতে দলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । তৃণমূল থেকে উঠে আসা সাবেক ছাত্রনেতা ও কারা নির্যাতিত নেতা মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা দলটির মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। এনডিপি অর্থায়নে ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী নয় বরং কর্মে বিশ্বাসী। তাই এনডিপি’র নেতৃত্ব বাছাই হয় কর্ম দিয়ে। দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক জাসদ ছাত্রনেতা , বাকশালী দ্বারা নির্যাতিত রক্ষী বাহিনীর হাতে গুলী খাওয়া, গণতন্ত্রের জন্য ১/১১ সামরিক শাসিত সরকার দ্বারা কারাবরণ কারী, বাহু বলে নয় মেধায় বিশ্বাসী, ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী। মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী, ব্যক্তিত্বকে ছাড় দিয়ে নেতৃত্বের সামনে আসা পছন্দ করেন না। দেশ ও জাতির অধিকার নিয়ে লড়াই করে সুদীর্ঘ ৩০টি বছর দলটিকে কালিমার হাত থেকে রক্ষা করে সুন্দর ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তারই প্রমাণ স্বরূপ জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে একক ভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করে যাচ্ছেন ।গণতন্ত্র ও ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে সরব রয়েছে দলটি। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ এনডিপি’র ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে দুর্নীতি-দুবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাবার আহব্বান জানান। ১০ সেপ্টেম্বর এনডিপির দলীয় কার্যালয় আলোকসজ্জা, ভোর ৬ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১১ টায় আলোচনা ও কেক কাটা কর্মসূচী গ্রহন করেছে। এছাড়া এনডিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা ও মহানগর কমিটিসহ সকলকে এনডিপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের জন্য আহব্বান জানানো হয়। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০মিনিটে নয়াপল্টনস্থ জননেতা আনোয়ার জাহিদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা'র সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন এনডিপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা। অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, বাংলাদেশ গণসংস্কৃতি দল সভাপতি সরদার শামস আল মামুন, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু প্রমুখ। এনডিপি’র ৩১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর ডাক “গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দেশ প্রেমিকদের ঐক্যের কোন বিকল্প নাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখেই দলটি ৩২ বছরে পা রাখবে। সংকটে ও সংগ্রামে দলটি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে জনগণকে সাথে নিয়েই গণমানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে যাবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আগামী নতুন প্রজন্মের কাছে দেশপ্রেমের বীজরোপন করতে চায় দলটির নেতৃবৃন্দ।
Wednesday, September 9, 2020

১০ সেপ্টেম্বর এনডিপির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
Tags
# রাজনীতি
Share This

About my blogg
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.
রাজনীতি
Labels:
রাজনীতি