সাভারে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত - Meghna News 24bd

সর্বশেষ


Saturday, October 17, 2020

সাভারে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত


সা
ভার প্রতিনিধি: সাভারে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাভার থানা কমিটির সম্মেলন হয়েছে। সম্মেলনে শ্রমিক ছাঁটাই নির্যাতন বন্ধ, করোনকালীন সময়ে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল করাসহ ৬ দফার দাবি জানান হয়।

শুক্রবার ( ১৬ অক্টোবর  ) বিকালে সাভারের উলাইল বাস স্টান্ডে এ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর ও টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসাইন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা, ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন।

সম্মেলন উদ্বোধক করেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর সাভার ধামরাই শিল্পঞ্চল কমিটির সভাপতি শাহ্ আলম, ও সভাপতিত্ব করেন, সাভার থানা কমিটির সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি, সঞ্চালনা করেন শফিকুল ইসলাম নেওয়াজ ও রতন হোসেন মোতালেব। 


সন্মেলনে বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাসকে ইস্যু করে অধিকাংশ গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ গণহারে শ্রমিক ছাঁটাই করে শ্রমিকদের জীবন-জীবিকাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। অথচ এ ধরনের পরিস্থিতি যেন না ঘটে সেজন্য সরকার প্যাকেজ প্রণোদনা হিসাবে স্বল্প সুদে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। সরকারের এই ঘোষণা কোন প্রতিফলন গার্মেন্টস ক্ষেত্রে প্রতীয়মান হচ্ছে না। শ্রমিক-জনতার মধ্যে যেমন অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনিই বিক্ষোভ সঞ্চার হচ্ছে।  ব্যবসায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ২০০৬ সালে কয়েক মিনিটের মধ্যে শ্রমিকদের প্রতিবাদ আন্দোলনের মুখে যে শ্রম আইন পাস করেছিল,  তা দীর্ঘদিন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার আগে শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী ধারা সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে শ্রম আইনে আগের কিছু ধারা সংশোধন করা হলেও শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী নতুন কিছু ধারা যুক্ত করা হয়। ২০১৫ সালে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন এবং ২০১৮ সালে শ্রম আইনের কিছু ধারা সংশোধন করা হয়। বর্তমানেও বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে।’

নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, পূর্বেরর অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, শ্রমিক আন্দোলন বা বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের আলোচনার মুখে সরকার শ্রম আইন সংশোধন করলেও প্রতিটি শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার বদলে বিভিন্ন কৌশলে অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে। শ্রম আইনের ২৩, ২৬ ও ২৭ ধারার অপব্যবহার করে শ্রমিকদের কর্মচ্যূত ও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের এবং সংগঠিত হওয়ার অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে।’

তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তারা দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণ প্রদান করা ও শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত এবং সামাজিক বৈষম্য নিরসন করতে শ্রম আইন ও বিধিমালার অগণতান্ত্রিক ধারা বাতিল করা হোক।’

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages