নিহত মোস্তাফিজুর রহমানের বাবার করা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। মামলায় আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।শনিবার ভোরে সাভারের শিমুলতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মোস্তাফিজুরকে বুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়ে পাশের বাড়ির সিসি ক্যামেরায়।
গত শনিবার সাভারের শিমুলতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় মোস্তাফিজুরকে হত্যার দৃশ্য ধরা পড়ে একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরায়
দুই দিন পর মোস্তাফিজুরের বাবা মজিবুর রহমান সাভার থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গভীর রাতে সাভারের রাজাশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজাদ শরীফ ও ডগি রনি হিসেবে এলাকায় পরিচিত মোহাম্মদ রনিকে গ্রেফতার করে র্যাব-৪ এর একটি দল।
মঙ্গলবার সকালে দুই জনকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ।
আটক আজাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানায়। রনির বাড়ি সাভারের ডগরমোড়া এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা সাভার ও আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ে জড়িত।
ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাফিজ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন আজাদ ও রনি। তারা ছাড়াও আরও দুই জন এই ঘটনায় জড়িত। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
র্যাব-৪-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং জানান, মোস্তাফিজুর হত্যায় নড়াইলের নড়াগাতি থেকে আরিফ মীর নামে আরেক জনকে আটকের কথা জানতে পেরেছেন তিনি।
অন্যদিকে নড়াইলের নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন জানান, আরিফ মীরের বাড়ি উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামে। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই ছিনতাই, ডাকাতির অভিযোগ আছে। মাদক ও মারামারি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। ২৫ অক্টোবর এলাকায় ফেরার খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।