আশুলিয়া প্রতিনিধি : আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকেল ৪ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) একেএম ফজলুল হক।
গ্রেপ্তার শাহাদাত হোসেন (৩০) সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার গোয়াগাতি গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানে ছেলে। সে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) একেএম ফজলুল হক বলেন, গত ৩০ আগস্ট আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার এক কিশোরী তাদের আত্মীয়ের সঙ্গে স্থানীয় ভাদাইলের গুলিয়ারচরএলাকায় ঘুরতে যায়। এ সময় ওই এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্যরা তাদের জোরপূর্বক একটি নির্জন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এদিকে কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যবর্তী কোন্দলের জেরে সেই ভিডিও হাতে পায় শাহাদত ও সুজন। পরে ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষকদের আত্মীয়স্বজনের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। বাধ্য হয়ে তাদের দাবিকৃত প্রায় দেড় লাখ প্রদান করেন ধর্ষণকারীদের পরিবার। পরবর্তীতে সেই ভিডিও প্রকাশ পেলে পুলিশ দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর থেকেই পলাতক ছিল শাহাদাত হোসেন ও শাকিল আহম্মেদ সুজন।
রবিবার বিকেলে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগী হিসেবে আজ সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবদের জন্যও আবেদন করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ব্যপারে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি শাহ আলম বলেন, এদের মত ব্যাক্তিদের জন্য আজ পেশাদার সাংবাদিকরা প্রশ্নবিদ্ধ। সাংবাদিকতা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় তারা আজ নানা রকম অপকর্ম করে এই মহৎ পেশাটির সুনামক্ষুণ্ণ করেন। তিনি কথিত ঐ নামধারী সাংবাদিক শাহাদাত আমাদের সদস্য নয় তার এহেন কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে অনেক আগেই বহিষ্কার করে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন অপরাধী আমার ভাই হলেও তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে কঠোর শাস্তি দাবী করবো।