বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ মজুদ করে রাখা ত্রাণ সামগ্রীর বিষয়টি সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নীপাকে জানালে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একরামুল হককে ঘটনাস্থলে পাঠান। পরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একরামুল হক রাতে স্কুলে গিয়ে দু’টি রুমের তালা খুলে ৪৯টি শুকনো খাবারের বস্তা ও ৫২ টি চালের প্যাকেট জব্দ করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান এসব ত্রাণ সামগ্রী দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ না করে আত্মসাতের উদ্দেশে স্কুলের দুই রুমে মজুদ করে রেখেছিলো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একরামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বন্যার্ত ও দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণগুলো বিতরণের কথা। কিন্তু সেগুলো তিনি কি কারণে এতদিন বিতরণ করেননি এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের উত্তর না দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন পাথালিয়া ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান। এসময় তার সাথে পাথালিয়া ইউপি সচিব শরিফুলও দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
সাভার সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নীপা বলেন, ত্রাণগুলো ৭ আগস্টের এর মধ্যে দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করার কথা ছিলো। সেগুলো ইউপি চেয়ারম্যান কেন বিতরণ করেননি জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তার বক্তব্য শুনে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান বলেন, ‘এ ইউনিয়নে ত্রাণ সামগ্রীর কার্ড পাওয়া অনেক লোকজন নানা সমস্যার কারণে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যায়নি। সেজন্য সেগুলো সেখানে মজুদ করে রাখা হয়েছে। আর যে দু’টি রুমে ত্রাণসামগ্রী মজুদ করে রাখা হয়েছে সেই রুম থেকে আমরা সারাবছর ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করি।’