নিজস্ব প্রতিনিধি :
অতি সম্প্রতি ইপিজেড থেকে বলিভদ্র বাজার পর্যন্ত ফুটপাতে চাদাঁবাজী শিরোনামে উল্লেখ করে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এব্যাপারে জানার জন্য ধামসোনা হর্কার্সলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু জানেন না এবং তিনি এই মুহুর্তে তার দেশের বাড়ি বরগুনায় অবস্থান করছেন বলে জানান। তবে তিনি ধামসোনা হর্কার্সলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক হাসানের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান। তার কথার সূত্র ধরে সরাসরি কথা হয় ধামসোনা হর্কার্সলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক হাসানের সাথে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন আমি এবং আমরা সুখে দুঃখে বিপদে আপদে হকারদের পাশে আছি। আমি নিজেও একজন হকার। হকারা ভালবেসে আমাদেরকে তাদের নেতৃত্ব দেবার জন্য মনোনিত করেছে।
আমরা ফুটপাতে দোকান করার সময় দেখেছি কখনো সিএমভি কখনো বা পুলিশ আমাদের এই ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট গুলো ভেঙ্গে দেয় এবং মালমাল নিয়ে যায়। আর তখন দিন এনে দিন খাওয়া গরিব আসহায় মানুষ গুলোর গুলোর ঘুরে দাঁড়ানোর কোন ব্যবস্থা থাকে না এছাড়াও ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে বড়বাধা মূলধন জোগাড়ের সমস্যা। এসব সমস্যা গুলো সমাধানের লক্ষে আমরা বিগত ২০১০ সালে বলিভদ্র বাজার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতি স্থাপন করি যার গভঃ রেজিষ্ট্রেশন নং- ৪৬৫১ সেই চলমান ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমি নিজে, সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ভাই, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জব্বার মোল্লা, কোষাধ্যক্ষ ইব্রাহীম । আমাদের এই সমিতিতে আমরা হকার সদস্যদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্বল্প সুদে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে থাকি যা আবার দৈনিক নিদৃষ্ট হারে আদায় করেন সমিতির কোষদক্ষ ইব্রাহিম। এখন আমার প্রশ্ন হলো এটা কি চাদাঁবাজী?
ঐ সাংবাদিক ভাই লিখেছন আমরা নাকি চাদাঁবাজী করি তাহলে আপনার মাধ্যমে আমি তাকে বলতে চাই ঋণ দেয়া টাকা আদায় করার নাম কি চাদাঁবাজী?
এছাড়াও তিনি লিখেছেন আমরা আশুলিয়া হর্কার্সলীগের সভাপতি সেক্রেটারি! তার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই আমরা আশুলিয়া হকার্সলীগের কেউ নই আমরা শুধুমাত্র ধামসোনা ইউনিয়ন কমিটির নেতৃত্বদেই থানা কমিটির নয়।
আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে ভালবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ দলের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আমি ও জাহাঙ্গীর ভাই মাঠে ছিলাম মাঠে আছি। আমরা নেহাত ক্ষুদ্র মানুষ চাদাঁবাজী করার মতো অযোগ্যতা আমাদের নেই। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে আমাদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ঐ গোষ্ঠীটি আমাদের হাটিয়ে দিয়ে এখানে তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আপনাদের(সাংবাদিকদের) নিকট আপনারা যাচাই বাছাই করে সত্যটি তুলে ধুলে ধরুণ কারো প্ররোচনায় মিথ্যাকে সত্য বলে চালিয়ে দিবেন না।
তিনি আরো বলেন, আমি সহ যাদের নাম উল্লেখকরে মিথ্যা চাদাঁবাজীর দোষে দোষারোপ করা হচ্ছে তারা কেহই এহেন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়।
চাদাঁবাজীর বিষয়ে হকারদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের কাউকে কোন চাঁদার টাকা দিতে হয় না, আর কেউ চাইলেও আমরা দিবো না এবং কেউ চাঁদার টাকা চাইতেও আসেনা। আমারা নিজেরাই সম্মিলিতভাবে ফুটপাতে দোকানদারী করি।অনেক সময় সিএমভি ও পুলিশের ভাংচুরের শিকার হতে হয় আমাদের তখন আমরা আমাদের সমিতি থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নেই যা একটি নিদৃষ্ট হারে প্রতিদিন আমাদের কোষদক্ষ ইব্রাহিম ভাইয়ের মাধ্যামে পরিশোধ করি। আমাদের বিপদে আপদে সব সময় আমাদের পাশে থাকেন জাহাঙ্গীর ভাই, আতিক ভাই । তারা আরো বলেন জাহাঙ্গীর ভাই ও আতিক ভাইয়ের জন্য আমরা এই ফুটপাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা বাণিজ্য করে বউ বাচ্ছা নিয়ে বেচে আছি। তারা অতন্দ্র প্রহরীর মতো আমাদের সাথে তারা চাদাঁবাজ না তারা আমাদের নেতা তারা আমাদের বন্ধু। তারা কখনোই আমাদের কাছে চাঁদা চাননি বরঞ্চ সুখে দুখে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন । আমরা তাদের নামে এমন মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং আপনাদের নিকট অনুরোধ জানাই আপনারা সত্যটি তুলে ধরুন।