![]() |
কি নাম এই প্রতারকের শাহজাহান না আজিজুর |
আশুলিয়া প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষকের ছদ্মবেশে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে । অত্র এলাকাবাসী জানতে চায় ঐ প্রতারকের নাম কি আজিজুর না শাহজাহান ? যদিও জাতীয় পরিচয় পত্র মোতাবেক ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার বিলখেরুয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শাহজাহান (৩৮) । কিন্তু তার পরিচয় গোপন করে বর্তমানে আজিজুর রহমান নাম ধারণ করে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল দক্ষিণ পাড়ার শিরু মার্কেট এলাকায় বসবাস শুরু করে এ সময় সুন্নতি লেবাসধারী এলাকার মুরব্বীয়ানদের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে এক পর্যয়ে পরিচয় হয় এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুস সালামের সাথে এবং তার প্রতিষ্ঠিত বাগে জান্নাত দারুস সালাম নুরানী হাফিজিয়া ও দাখিল মাদ্রাসায় তাকে শিক্ষক পদে একটি চাকুরি দেয়ার জন্য অনুরোধ করে ঐ প্রতারক আজিজুর , এলাকায় নতুন এসেছে সহ নানা অনুনয় বিননয় করতে থাকেন এসময় আব্দুস সালাম তার সুন্নতি লেবাস ও মার্জিত ব্যবহার দেখে তাকে তার মাদ্রাসায় চাকুরী দেন ।
![]() |
জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম মোঃ শাহজাহান অথচ অত্র এলাকায় সে কথিত এই আজিজুর রহমান নামে পরিচিত |
এক সময় কথিত ঐ আজিজুল রহমান পুরো মাদ্রাসাটি পরিচালনা করার জন্য তাকে দায়িত্ব দিতে আব্দুস সালাম কে অনুরোধ করে । এবং সে উক্ত মাদ্রাসাটিকে সত্যিকারে একটি ধর্মীও প্রতিষ্ঠান হিসেবে যথাযথভাবে গড়ে তুলবে এবং প্রতিমাসে আব্দুস সালাম কে প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যায়ের হিসেব দেবে বলে দায়িত্ব নেয়। কর্মব্যস্ত আব্দুস সালাম নিজের ব্যস্ততার দরুণ ঠিকমত মাদ্রাসাটি দেখভাল করতে না পারায় কথিত আজিজুর রহমান কে মাদ্রাসাটি পরিচালনার দ্বায়িত্ব দেয় কিন্তু আদতে ঐ প্রতারক আজিজুর রহমান নামধারী শাহজাহান ২০১১সাল থেকে অদ্যবদি মাদ্রাসাটির কোন আয়-ব্যায়ের হিসেব না দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে গত ১-০১-২০২১ইং তারিখে রাতের অন্ধাকারে গোপনে মাদ্রাসার স্টিলের আলমারির তালা ভেঙ্গে নথিপত্র,রেজিস্টার খাতা অফিসের ব্যবহারিত ফ্যান লাইট কম্পিউটার ও মূল্যাবান কাগজপত্রসহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে সটকে পড়ে ।
এবং পাশেই ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার উত্তর পাড়া মোশারফ মার্কেট সংলগ্ন করোনার কারণে বন্ধ থাকা একটি স্কুল কে বাগে জান্নাত দারুস সালাম নুরানী হাফিজিয়া ও দাখিল মাদ্রাসায় পাঠদান করা ২৫০শত ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বাইতুল কুরআন নুরানী হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা নামে নতুন একটি মাদ্রাসা গড়ে তোলে ।
এবং এই প্রতারক আজিজুর রহমান আব্দুস সালামের নামে নানা রকম মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্যদিয়ে মানুষ কে বিভ্রান্তকরছে ।
এ ব্যপারে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল দক্ষিণ পাড়ার শিরু মার্কেট এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বাগে জান্নাত দারুস সালাম নুরানী হাফিজিয়া ও দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, অর্থনয় সত্যিকার অর্থে ধর্মীও শিক্ষা প্রসারের লক্ষে এবং এতিম অনাথ শিশুদের ধর্মীও শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১১সালে আমি মাদ্রাসাটি স্থাপন করি ।
এ সময় ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার বিলখেরুয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শাহজাহান (৩৮) পরিচয় গোপন করে আজিজুর রহমান নাম ধারণ করে ২০১১সালে আমার কাছে এসে আমার মাদ্রাসায় শিক্ষক পদে একটি চাকুরী চায় । আমি তার সুন্নতি লেবাস ও মার্জিত ব্যবহার দেখে তাকে আমার মাদ্রাসায় চাকুরী দেই । এর পর নিজের ব্যস্ততার দরুণ ঠিকমত মাদ্রাসাটি দেখভাল করতে না পারায় আজিজুর রহমান ২০১১সালের অক্টোবর মাসে পুরো মাদ্রাসাটি পরিচালনার জন্য দ্বায়িত নিতে আগ্রহী হয়ে বার বার আমাকে অনুনয় বিননয় করতে থাকে আমি তার কথা বিশ্বাস করে সরল মনে মৌখিকভাবে আমার পুরো মাদ্রাসাটি পরিচালনার জন্য দ্বায়িত্ব দেই । কিন্তু হটাৎ করেই গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে একদিন মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বেশ কয়েকটি খাতাপত্র গেঠে আজিজুর রহমানের নানা অনিয়ম দুর্নীতি সহ বড় ধরনের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আমার নজরে আসে । এর আগে আমার মাদ্রাসায় কর্মরত বেশ ক’জন শিক্ষক আজিজুর রহমানের অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করে কিন্ত তার প্রতি আমার অঘাত বিশ্বাস থাকায় আমি তা আমলে নেই নি যা আমার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে ।
হিসেবের বিষয়টি গড়মিল হওয়ায় আমি তার কাছে হিসেব চাই। সে হিসেব না দিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে এবং বাসায় হিসেবের খাতা রয়েছে বলে জানায় ।
আমার সরলতার সুযোগে নিয়ে এই প্রতারক আমার দীঘ ১০বছর ধরে আমার মাদ্রাসা থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে উল্টো আমাকে মামলার ভয়ভীতি প্রর্দশন করে ।
আমি গত ২জানুয়ারী বিষটি স্থানীয় ধামসোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু সাদেক হোসেন ভূইয়া কে অবহিত করি এবং তার মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিষ্পতি করার জন্য চেষ্টা চালাই । এসময় মেম্বার আবু সাদেক হোসেন ভূইয়া সবকিছু বাদ দিয়ে আজিজুর রহমান কে বিগত ২বছরের মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসেব বুঝিয়ে দিতে বলে ।
সে মেম্বার আবুসাদেক হোসেন ভূইয়া কথা মেনে আমাকে হিসেব দিবে বলে জানায় ।
তার পর থেকে সে লাপাত্তা পরে জানতে পারি সে পাশেই আর একটি মাদ্রাসা দিয়েছে ।
আমি তার বিরুদ্ধে গত ৪-১-২০২১ইং তারিখে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি যার তদন্তেরয়েছে এস আই ইউনুস আলী ।
কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় গত ৭ জানুয়ারী দৈনিক ফুলকী নামে একটি পত্রিকার অনলাইনে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মনগড়া কিছু কুৎসা মূলক সংবাদ প্রচার করে যা মোটেও সত্য নয় । আমি প্রকাশিত সংবাদটির তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সাংবাদিক ভাইদের নিকট বিষয়টি তদন্তপূর্বক সত্য ঘটনা তুলে ধরার অহবাণ জানাই ।
এ ব্যপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মেম্বার আবু সাদেক হোসেন ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আজিজুর রহমান এই প্রতিবেদকের জানান, তিনি আব্দুস সালামের কাছ থেকে বাগে জান্নাত দারুস সালাম নুরানী হাফিজিয়া ও দাখিল মাদ্রাসা ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করছেন কিন্তু তিনি ভাড়া নেয়া বাবত কোন চুক্তিনামা বা ভাড়া প্রদানের রশিদ প্রর্দশন করতে পারেননি । সালাম সাহেবের কাছে বিগত মাদ্রাসা পরিচালার বিষয়ে হিসেব চাওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার মেম্বার আবু সাদেক হোসেন ভূইয়ার নিকট বিগত ২ বছরে মাদ্রাসার আয় ব্যায়ের হিসেব দিবেন বলে আসার কথা অকপটে স্বীকার করেন । আয় ব্যায়ের হিসেব কেন দেননি মর্মে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি ।
এক সময় কথিত আজিজুর রহমান নামধারী ঐ শিক্ষকের সাথে সহকর্মী হিসেবে কাজ করা বেশ কয়েকজন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং তারা তার শিক্ষাসনদ যাচাইয়ের জন্য এই প্রতিবেদক কে অনুরোধ করেন ।
এই প্রতিবেদকের কাছে শাহজাহান নামের এখন আজিজুর রহমান পরিচয় দেয়া প্রতারকের বিরুদ্ধে তার নিজ জেলা ময়মনসিংহ থেকে বিদেশে মানুষ পাঠানো ,মাদ্রাসা এমপিওভুত্তি করণ ও মসজিদে সরকারী অর্থপাইয়ে দেয়ার কথা বলে প্রায় ২৫/৩০লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইলের আত্মগোপন করে বসবাস সহ আরো নানা দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য প্রমাণ রয়েছে যা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে ।