নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিপক্ষের হিংসায় ব্যবসায়ীকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন এরশাদ গ্রুপের চেয়াম্যান আলহাজ্ব এরশাদ আলী। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি একটি বেসরকারী ব্যাংকের এক ঊধ্বতন কর্মকতার রোষানলের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা গুলশানস্থ এলাকায় প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট আমার কাছে বিক্রি করার পরও সেটি হস্তান্তর না করে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনী ভাবে জোরপূরবক নিজে ভোগদখল করছে। ফ্ল্যাটটি বুঝে পেতে আইনের দারস্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। আমার ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চক্রান্তমূলকভাবে উস্কে দেয়। অথচ প্রকৃত সত্য হলো, আমি কোনো ব্যাংক এর টাকা লোপাট করিনি। বরং ব্যাংক থেকে যে লোন নিয়েছি তার বিপরীতে ব্যাংকের কাছে আমার স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পদ দায়বদ্ধ আছে। একই ভাবে আমার সব ব্যাংকের হিসাব পূনঃতফসিল করতে সর্বোচ্ছ চেষ্টা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ আলী বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া এওয়ার্ড সাংবাদিকদের সামনে উপস্থঅপন করে বলেন, আমি শুরু থেকেই ন্যায়ের পথে থেকে সুনামের ঙ্গে ব্যবসা করছি। এর ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাকে এসসব এ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের সুনামধন্য বিভিন্ন কোম্পানীর উৎপাদিত সিমেন্ট যেমন- ,মিরগ্রুপ তিনবার, বসুন্ধরা গ্রুপ, সেনা কল্যান সংস্থা, সেভেন রিং সিমেন্ট ইত্যাদি কোম্পানীর ডিলার হিসেবে তাদের উৎপাদিত সিমেন্ট বাজারজাত করায় উক্ত কোম্পানী হতে একাধিক পদক দিয়েছে। এছাড়া পদ্মা সেতু সহ বাংলাদেশের অন্যান্য মেগা প্রজেক্টে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করে সরবরাহ করে আসছি। পদ্মা মেজর ব্রীজ প্রজেক্ট থেকে বেষ্ট পাথর সাপ্লাইয়ার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন সার্টিফিকেট পেয়েছি। বর্তমানে পদ্মা ব্রীজের রেল লিংক প্রজেক্ট সহ চিনো-হাইড্রো ইত্যাদি প্রকল্পে আমার প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পাথর সরবরাহ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি এসব অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। মার্কেটে আমার ব্যবসার বিভিন্ন সেক্টরে শতাধিক কোটি টাকা বিল পাওনা রয়েছে, অপপ্রচারের ফলে এই বিল উত্তোলন আমার জন্য একদিকে অনিশ্চিত, অন্যদিকে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হারাতে বসেছি। আমি উধাও নই এবং ভবিষ্যতেও কখনই উধাও হয়ে যাওয়ার কোনরূপ পরিকল্পনাও নেই। কারন আমি ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে তা আমার ব্যবসায় বিনিয়োগ করি। আমি দেশের বাহিরে কোন সম্পদ তৈরি করি নি আমার দেশেও ব্যাংক এর বাহিরে কোন সম্পত্তি নেই। আমি দীর্ঘদিন ধরে করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছি। এই সুযোগে আমার ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দী কুচক্রি মহল আমাকে আত্মগোপন দেখিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। যে কোন সময় যে কোন সংস্থা আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে আমি সর্বদা প্রস্তুত আছি। আমার সকল ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাবসায়িক সু-সম্পর্ক রয়েছে।