মোঃ জসীম উদ্দিনঃ
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের শহীদ মিনার বিকৃত করে স্থাপন করা হয়েছে। এতে শহীদ মিনারের মূল তাৎপর্য সমন্ধে বিভ্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিষ্ণপুর গ্রামের বিষ্ণুপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয়, খলসী গ্রামের খলসী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং উত্তরআড়া গ্রামের উত্তরআড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও সেগুলো জাতীয় শহীদ মিনারের ডিজাইন অনুসরন করে নির্মান করা হয়নি। শহীদ মিনারগুলোতে তিনটি করে কলাম রাখা হয়েছে এবং প্রত্যেকটা কলামের মাথা সামনের দিকে বাকানো। এছাড়া নেই সূর্যের মতো লাল বৃত্ত ও। অথচ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মাঝখানের একটি কলামের মাথা বাকানো থাকে। বাকী ৪টি কলামগুলো থাকে সোজা। যা মাতৃভাষা বাংলার সাথে আমাদের মা ও ছেলের সর্ম্পকে নিদের্শ করে।
খলসী গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন ছাত্র মোঃ রফিক এইসব শহীদ মিনার সংশোধনের দাবী জানিয়ে বলেন, এরকম শহীদ মিনার নির্মিত হলে একসময় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের বিষয়টিকে নানা ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝাতে হবে। এর ফলে আগামী প্রজন্মের সামনে আমাদের সঠিক ইতিহাস বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জানান, শহীদ মিনার নির্মানে নির্দিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় যে যার ইচ্ছেমত শহীদ মিনার নির্মান করে থাকেন।
তবে অনেক বিশিষ্ট জনেরা মনে করছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ডিজাইন অনুসরন করেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা উচিত।