সাভার প্রতিনিধি : পরকিয়ায় আসক্তির কারণে ভেঙ্গে গেলো ভালোবেসে বিয়ে করা ৪ বছরের সংসার ।
ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ধামরাইয়ের মেয়ে রানু সুলতানা(৩৪) ও সাভারের ছেলে পারভেজুর রহমান(৩৬) ।
বিয়ের কিছুদিন পরেই প্রকাশ পেতে শুরু করে পারভেজের আসল চেহারা।
পর নারীর প্রতি তার আসক্তি প্রকাশ পেতে শুরু করে রানু সুলতানার কাছে।
স্বামি পারভেজ কে নানা উপায়ে ফেরাতে চেষ্টা করেন রানু সুলতানা।
রানু সুলতানা দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী হবার পরেও তার স্বামি পর নারীর প্রতি আসক্তি কমেনি একবিন্দুও ।
![]() |
ছবিতে :ছবিতে পরোকিয়া নারী রাবেয়া বসরি আশা ও পারভেজুর রহমান পারভেজ। |
তার এমন আচার আচরণ দেখে বার বার চেষ্টা করেও স্বামি পারভেজ কে পরকিয়া থেকে ফেরাতে পারেনি রানু সুলতানা। পারভেজ কে রানু সুলতানার-ই ভরণ পোষণ করতে হতো তার বাবার বাড়ির সহয়তায়, কারণ সে ছিলো বেকার।
অতি সম্প্রতি পারভেজ সাভারের রাবেয়া বসরি আশা(৩৫) নামে এক মহিলার সহিত পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এর আগেও সে একাধিক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়ায়, বিষয়টি জানার পর রানু সুলতানা তার স্বামী পারভেজ কে এ পথ থেকে ফেরানোর চেষ্টা করলে তার উপর নেমে আসে নির্যাতনের স্টীম রোলার এবং কি তাকে জানে মারার হুমকিও দিতে থাকে পারভেজ।
বাধ্য হয়ে গত ৯-৪-২০২১ইং তারিখে সাভার থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন রানু সুলতানা যার নং-৫৪১।
বর্তমানে পারভেজ সেই রাবেয়া বসরি আশার সাথে গোপনে বসবাস করছে আর নানা ভাবে রানু সুলতানাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী রানু সুলতানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব পেইজের স্ট্যাটাসে যা লেখেন তা পাঠকের উদ্দেশে হুবহু তুলে ধরা হলো,,,,
একটি মেয়ে কতটা অসহায় হয়ে পড়লে তাকে পারিবারিক বিষয় গুলো ফেসবুকে লিখতে হয়।
আমি কতটা ভোক্তভুগী এই প্রতারক পারভেজের সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকে, এটা হয়তো লিখে শেষ করা যাবে না। আমি চাই না এই প্রতারক ধারা আর কেউ প্রতারিত হোক। এতো মেয়েদের
জীবন নষ্ট করেছে যে হয়তো আর বেশি দিন দেরি নেই আল্লাহ পাকের গজব নাজিল হতে। আজকে আমার খুব লজ্জা করে এই প্রতারক পারভেজ কে আমার স্বামী বলে করো কাছে পরিচয় দিতে।যে মানুষ টাকার জন্য লোভে পড়ে নিজেকে বিক্রি করে দেয়। সে একদিন আমাকেও বিক্রি করে দিতে তাঁর কোন দ্বিধা বোধ করবে না।এটাই চরম সত্যি কথা। আমার ঘর সংসার ভেঙ্গে ঐ মহিলা রাবেয়া বসরী আশা কে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বুঝতে পারছি।যেহেতু আমাকে মারার জন্য হুমকি দেয় এসে।আর যে কোন সময়ে আমাকে মারতেও পারে।এই ধরনের ছেলের পক্ষে সবই সম্ভব। তাই আমি আমার আর আমার ছেলের নিরাপত্তার জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এছাড়াও আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি আমার এই বিপদে। আশা করি ফেসবুক বন্ধু হিসেবে আপনারা আমাকে যে কোন সুন্দর পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করবেন। সবাইকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই।