সাইদুর রহমান (রিমন) : তরুণ সংবাদকর্মি প্রিন্স আহমেদ। কাজ করেন দেশপত্র পত্রিকায়, থাকেন রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায়। ক’দিন আগে হঠাৎ এক নারী তাকে ফোন করেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি জানান, তার স্বামীর এক বন্ধু আক্তার গাজী বাসায় আসা যাওয়ার সুযোগে একদা চেতনানাশক কিছু সেবন করিয়ে সম্বিতহীন অবস্থায় তার সঙ্গে মেলামেশা করেছেন এবং এ সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিও তার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় রেকর্ড করে রাখেন। এরপর থেকেই আক্তার গাজী ওই সব নগ্ন ছবি ও ভিডিও পুঁজি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে যখন তখন তার সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। এমন অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই উত্তরায় গিয়ে সাংবাদিক প্রিন্সের সঙ্গে দেখা করে এর প্রতিকারে সাহায্য প্রার্থনা করেন। সভাবতই সাংবাদিক হিসেবে ভুক্তভোগির বক্তব্যের সত্যতা জানতে চান, পেতে চান প্রমানাদি। সঙ্গে আসা নারীটির স্বামী তৎক্ষনাত মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু আক্তার গাজীর শারিরিক মেলামেশার ভিডিও এবং কয়েকটি ছবি হস্তান্তর করেন। শুনিয়ে দেন হুমকি সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও রেকর্ড। সবশেষে প্রিন্সের পরামর্শ ছিল, ভুক্তভোগী হিসেবে আপনারা থানায় লিখিত অভিযোগ করলেই আমরা তা নিয়ে রিপোর্ট করবো, এতে আপনারা হুমকি ধমকির বিপর্যয় থেকে রেহাই পাবেন হয়তো। যেহেতু ভুক্তভোগী নারী আর থানায় মামলা বা কোনরকম অভিযোগ করেনি সুতরাং প্রিন্স সে বিষয়ে নিজে থেকে ঝুঁকি নিয়ে কোনো রিপোর্টও প্রকাশ করেনি।
এরইমধ্যে ভুক্তভোগী দম্পত্তি আর অভিযুক্ত আক্তার গাজীর মধ্যে মোটা অঙ্কের লেনদেনের মাধ্যমে গোপন সমঝোতা হয়ে যায়। কিন্তু এর আগেই কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে বিতরণ করা ভিডিও ও ছবির ব্যাপারে বেশ চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তারা। সেগুলো উদ্ধারের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সহায়তা নেন তারা, বুধবার রাতে তাকে আটক করে প্রিন্স আহমেদকে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।
প্রশ্ন : প্রিন্স কী অবৈধ মেলামেশা করেছিল?
জবাব: না
প্রশ্ন : প্রিন্স কী অবৈধ মেলামেশার ভিডিও রেকর্ড করেছিল?
জবাব: না
প্রশ্ন : প্রিন্স কি সেই ছবি ও ভিডিও কোথাও প্রচার করেছিল?
জবাব: না
তবে কী ভুক্তভোগির অভিযোগ সংক্রান্ত কোনো প্রমান সাংবাদিকের কাছে রাখা নিষিদ্ধ? প্রমানাদি ছাড়া তিনি রিপোর্ট করবেন কিসের বলে? যিনি অবৈধ মেলামেশা করলেন, ভিডিও করলেন, টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করে নিলেন তিনি/তারা নিস্পাপ? অপরাধের কোনো আইন তাদেরকে স্পর্শ করতে পারলো না??? বলিহারী আইসিটি ও পর্ণোগ্রাফী আইন, বলিহারি!!
বাস্তব অবস্থা হলো: সকল ধরনের সংবাদ প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা আছে দেশে। প্রমান সাপেক্ষে যে কোনো নিউজ করুন সরকার তাতে বাধ সাধবে না। তবে প্রমানপত্র রাখলে কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাকে আটক করবে এটাও ভুলে যাবেন না। হাত পা বেধে দিলাম এবার সাঁতার কাটো পুকুরে।