অনলাইন ডেস্ক:
পোশাক শ্রমিক আজহারুল ইসলাম (৩০) এবং তার সন্তান দু’জনেই ইমাম আব্দুর রহমানের কাছে কোরআন শিখতেন। এ কারণে আজহারের বাসায় যাওয়া-আসা ছিল ইমামের। আজাহারের ধারণা, তার স্ত্রীর সঙ্গে ইমামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে। তাই ইমামকে বাসায় যেতে বাধা দেন তিনি। এ নিয়ে মসজিদের ভেতরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইমাম পশু জবাইয়ের ছুরি দিয়ে আজাহারের গলায় কোপ দেয়। ইমামের কক্ষেই মারা যান আজাহার। এরপর তার লাশ ছয় টুকরো করে সেপটি ট্যাংকে ফেলে দেয় ইমাম।
নৃশংস এ ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায়। হত্যার সঙ্গে অভিযুক্ত ইমাম আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকালে কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল মুত্তাকিম।
র্যাবের দেওয়া তথ্যানুয়ায়ী, গত ১৯ মে মাওলানা আব্দুর রহমানের সঙ্গে আজহারের কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আজহারের গলার ডানপাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আব্দুর রহমান। পরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যাকারী ভিকটিমের মরদেহ টুকরো টুকরো করে সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। এরপর ইমাম আব্দুর রহমান মসজিদে নিজের কক্ষেই অবস্থান করছিলেন।
নিহতের স্ত্রী র্যাবের হেফাজতে কিনা, এমন প্রশ্নে লে. কর্নেল আব্দুল মুত্তাকিম বলেন, ‘আমরা কিছু সময় আগে তার স্ত্রী আসমা বেগমকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো সম্ভব হবে।’
ধারালো অস্ত্রগুলো কীভাবে এলো জানতে চাইলে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি (ইমাম) দীর্ঘদিন ধরে ওই মসজিদে চাকরি করতেন। কোরবানির সময় পশু জবাই করার জন্য তিনি এগুলো রাখতেন। সেই অস্ত্র দিয়েই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’