কালিয়াকৈরে সাইনবোর্ড ও ভূয়া কাগজপত্রে দখল বাণিজ্য,সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা (ভিডিও সহ) - Meghna News 24bd

সর্বশেষ


Tuesday, August 10, 2021

কালিয়াকৈরে সাইনবোর্ড ও ভূয়া কাগজপত্রে দখল বাণিজ্য,সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা (ভিডিও সহ)

 

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে দখল বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াকৈর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান 


সংবাদ সম্মেলন ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমান ইয়াছিনের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী জমির মালিক। অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড ও ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে দখল বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন ভুমিদস্যু ওই সাবেক চেয়ারম্যান। এভাবে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারণ কৃষক। তার অন্যায়-অত্যাচারীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি সংখ্যালঘু পরিবারও। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ নুর উদ্দিন বলেন, ভুমিদস্যু ওই সাবেক চেয়ারম্যান আমাদের পৈত্তিক ৪৬ শতাংশ জমির ভূয়া দলিল বানিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন। এমন কি তিনি আমাদের মার্কেট ভাংচুর করে উল্টো আমাদের নামেই থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন। অপর ক্ষতিগ্রস্থ মজিবুর রহমান বলেন, ওই চেয়ারম্যান এলাকায় সাইনবোর্ড ব্যবসায়ী নামে পরিচিত। আমিও তার হয়রানির শিকার হয়েছি। বিজয় চন্দ্র পাল বলেন, তার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা দিয়ে আড়াই শতাংশ জমির বায়না দলিল করি। কিন্তু এখন জমিও দেয় না, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। বিষয়টি মন্ত্রীকে জানালে ওই চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর ও গলায় টিপে ধরে নানা ধরণের হুমকি দেন। হানিফ আলী বলেন, বাড়ি করার জন্য ৪৪ লাখ টাকা দিয়ে ২০ সতাংশ জমি কিনেছিল। ওই জমিও তিনি জোর করে নিয়ে নেন। কিন্তু প্রথমে কিছু টাকা দিলেও পরে নানা অজুহাতে সে টাকাও নিয়ে নেন। টাকা চাইতে গেলে আমাকে মারধরও করেন। মাসুদ রানা বলেন, ওই চেয়ারম্যান ভাতাড়িয়া এলাকায় সাইনবোর্ড দেখিয়ে ১৪ লাখ টাকা বায়না দলিল করে দেন। পরে ১৫ দিনে জমি ভরাট করে দেয়ার কথা থাকলেও চার বছরেও তা দেননি। এখন বলছেন, জমি নিয়ে মামলা আছে, পরে দিবো। আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই চেয়ারম্যান আমার নামেও কোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা করেন। কিন্তু আদালত আমার পক্ষে রায় দিলেও আবার আপিল করেন। এভাবে আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। 

শুধু তারাই নন, ওই চেয়ারম্যানের অন্যায় অত্যাচার, জাল-জালিয়াতি  শিকার এমন প্রায় অর্ধশত ব্যক্তির তালিকা দেখান সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় ওই ভুমিদস্যু সাবেক  চেয়ারম্যানের অন্যায়, অত্যাচার থেকে বাঁচতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা ও তার বিচার দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক ও ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন। তবে অভিযুক্ত আটাবহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবর রহমান ইয়াছিন জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেসব অভিযোগ মিথ্যা।



Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages