স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি হিসেবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ধোয়া-মোছার কাজ শেষ করে বেঞ্চে রং দিয়ে লাল দাগ দিয়েছেন কর্মচারীরা। শিক্ষার্থীদের বসার সব বেঞ্চের মাঝে দেওয়া হয়েছে ক্রস চিহ্ন। ওই লাল দাগ জানান দিচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের বসার নির্দেশনা।
বৃহস্পতিবার সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির খান বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বেঞ্চের মাঝে লাল দাগ দেওয়া হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে কোথায় বসা যাবে আর কোথায় বসা যাবে না। একইভাবে প্রস্তুতি শেষ করার কথা জানান আরেক সরকারি প্রতিষ্ঠান অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান মমতাজ বেগম।
তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের সব বেঞ্চে দু'জন করে শিক্ষার্থী বসানো হবে। মাস্ক বাধ্যতামূলক। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থাকবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, ইতোমধ্যে ক্যাম্পাস পরিস্কারসহ পাঠদান কক্ষ প্রস্তুত করেছে দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আনন্দ নিকেতন, ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক অ্যান্ড কলেজ, স্কলার্স হোম, রাজা জিসি হাই স্কুল, এইডেট হাই স্কুলসহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, সিলেট বিভাগে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ১২ লাখ ৮৮ হাজার, মাধ্যমিকে আট লাখ ১৮ হাজার, উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজে দুই লাখ ৫০ হাজার এবং সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ মিলে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী আছে।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসায় আরও ২০ থেকে ২২ হাজার শিক্ষার্থী আছে। আগামী রোববার থেকে সারাদেশের মতো সিলেটেও মুখরিত থাকবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।