কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের নামে প্রতারণা ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার প্রশিক্ষণার্থীরা বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ইনচার্জ অফিসার্স বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার গোয়ালবাথান এলাকায় দিশারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ডিটিআই) নামে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গাছবাড়ি এলাকার মতিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে দিশারী ট্রেনিং দিশারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খুলেন। প্রায় বছর দুয়েক আগে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে কয়টা কক্ষ ভাড়া নিয়ে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে আসছেন। গত ২৫ মে তিনি লিফলেট ছাপিয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ছড়িয়ে দেন। ওই লিফলেটে উল্লেখ করা হয়, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে দিশারী’র উদ্যোগে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় ১৮০ জন ছেলে-মেয়েকে বিনামূল্যে এক মাস মেয়াদী কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আরো উল্লেখ করা হয়, অভিজ্ঞতার আলোকে এর মধ্যে প্রশিক্ষিত ৬০ জনকে চাকুরি প্রদান করা হবে। বিনামূলে প্রশিক্ষণ, সরকারী সনদ ও চাকুরি প্রলোভনে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিতে প্রশিক্ষনার্থীরা ওই কেন্দ্রে যায়। এ সুযোগে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নিবার্হী পরিচালক মতিউর রহমান ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা আদায় করেন। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার প্রশিক্ষণার্থী মেহেদী হাসান, রনি আহম্মেদ, আশরাফুল ইসলাম ওই বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির অফিসার ইনচার্জ অফিসার্স বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
প্রতারণার শিকার প্রশিক্ষণার্থী মেহেদী হাসান জানান, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ভিতরে বিনামূলে প্রশিক্ষণ, সরকারী সনদ ও চাকুরি দেয়ার কথা লিফলেটে দেখে ওই ট্রেনিং সেন্টারে যাই। বিনামূলের কথা বললেও আমাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। পরে জানতে পারি ওই ট্রেনিং সেন্টারটি অনুমোদন বিহীন।
অভিযুক্ত দিশারী ট্রেনিং দিশারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নির্বাহী নিবার্হী পরিচালক মতিউর রহমান মুঠোফোনে জানান, আইডি কার্ডের জন্য ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। আর আমার প্রতিষ্ঠানটি বৈধতা আছে কিনা? সেটা আমিই জানি।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ইনচার্জ অফিসার্স হাসান ইবনে শাহীন জানান, আমি আসার আগেই দিশারী ট্রেনিং সেন্টারটি হাইটেক সিটির মুল ভবনের কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছে। ওই সেন্টার নামে অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।