আশুলিয়া প্রতিনিধি : ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চলখ্যাত আশুলিয়ায় থানার নাম ভাঙ্গিয়ে ফুটপাতে দেদারছে চলেছে চাদাঁবাজি। নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের ডিইপিজেড সংলগ্ন সম্ভার ফিলিং স্টেশন থেকে আশুলিয়া থানার দিকে যাবার রাস্তা পর্যন্ত বাইপাইল মসজিদের সামনের সড়কের উপরে প্রতিদিনই ভাসমান দোকানদারদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১৫০টাকা হারে চাদাঁ আদায় করে একটি সংর্ঘবদ্ধ চক্র ।
ভাসমান দোকানীরা জানান, রাস্তার এ অংশে প্রতিদিন প্রায় ১ থেকে দেড়’শ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যদির দোকান বসে, বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডিইপিজেড ও আশেপাশের নানা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকরা এ রাস্তায় চলাচল করা কালিন তাদের কাছে কমদামে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য বিক্রয় করে থাকে । আর বিকেল হলেই মহাসড়কের উপর এক অঘোষিত বাজার বসে প্রতিদিন । হকাররা অল্পপুজি নিয়ে কমদামের পন্য এনে এখানে সল্পমূলে তা বিক্রি করে, আর তাই প্রতিদিনই আশুলিয়া থানার নাম করে মোঃ তমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে দুলাল,মোজাম্মেল হোসেন ও মুকুল নামের ৪জনের একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র দোকান ভেদে ৫০ থেকে ১৫০টাকা পর্যন্ত চাদাঁ আদায় করে । দোকানীরা আরো জানান, কেউ টাকা না দিতে চাইলে তাকে মারধর করে এবং থানায় ধরে নিয়ে জেলে দেবার হুমকি দেয় , বাধ্য হয়েই তাদের টাকা দিতে হয়। তমিজ তাদের বলেছে সে নাকী থানা থেকে ডাক নিয়েছে এই ফুটপাত থেকে টাকা উঠানোর ।
অভিযোগ আছে তমিজ উদ্দিন নাকী আশুলিয়া থানার ক্যাসিয়ার, আশুলিয়ায় থানার নামে বিভিন্ন স্পট থেকে সে নিয়মিত মাসোহারা উত্তোলন করে । ফুটপাতে চাদাঁ উত্তোলনের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীর কাছে অকপটে স্বীকার করে তমিজ উদ্দিন। তমিজ জানায় তার টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে ওসি কামরুজ্জামান ও তদন্ত ওসি জিয়াউল হক নাকি অবহিত আছে । তমিজের অপর সহযোগীর নাম দুলাল । ঐ ব্যাক্তি অত্র এলাকায় লাশ দুলাল নামে পরিচিত । এক সময় আশুলিয়া থানার লাশ পরিবহনের কাজ করতো তাই তার নাম লাশ দুলাল । এখন সে চাদাঁবাজীতে তমিজের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।
এ ব্যপারে আশুলিয়া থানার ওসি কামরজ্জামানের কাছে একাধিক বার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি। তাকে না পেয়ে মুঠোফোনে আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত জিয়াউল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা দোকান গুলো ভেঙ্গে দিয়েছি,সেখানে আর কাউকে বসতে দেয়া হবে না ।
কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপোর বিষয় সড়কের উপরে বসা ভাসমান সেই দোকানদার-রা দিব্বি এখনো বহাল তবিয়তে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন । আর নিয়মিত টাকা উত্তোলন করছেন তমিজ গংরা । স্বল্প আয়ের দোকানী হকার-রা তাদের নিকট থেকে চাদাঁ উত্তোলন বন্ধের ব্যপারে প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ।