গাজীপুর প্রতিনিধি : প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে নেমেছেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা। নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। অথচ প্রচারণায় বাধা ও মাইক ভাংচুর করাসহ হামলার আতঙ্কে মাঠের বাইরে ছিলেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মজিবুর রহমান। অবশেষে সোমবার সকালে সেই মেয়র প্রার্থী শুরু করেছেন প্রচার-প্রচারণা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
পৌরবাসী ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর কালিয়াকৈর পৌরসভার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। গত ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে নেমেছেন পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা। পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু শুরুতে কয়েকটি স্থানে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, পৌর বিএনপির সাধারন সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মজিবুর রহমানের কর্মী সমর্থকদের প্রচারণায় বাধা প্রদান করে অজ্ঞাত কিছু লোক। এসময় তারা ওই প্রার্থীর মোবাইল প্রতীকের মাইকও ভাংচুর করে। এরপর থেকে আতঙ্কে নির্বাচনী মাঠের বাইরে ছিলেন মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মজিবুর রহমান। অবশেষে সোমবার সকালে কালিয়াকৈর বাজার এলাকা থেকে সেই মেয়র প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছেন তার প্রচার-প্রচারণা। পর্যাক্রমে তিনি সাহেববাজর, কালামপুর, গোয়ালবাথানসহ বিভিন্ন পৌর এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালান। সঙ্গে তার কর্মী-সমর্থকরা গলায় মোবাইল প্রতীক সম্বলিত কার্ড ঝুলিয়ে, হাতে লিফলেট নিয়ে মিছিল করে। এসময় ওই প্রার্থী উন্নয়ন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার মোবাইল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এদিকে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে ছিল পুলিশ, ডিবিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
প্রচারণাকালে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মজিবুর রহমান নির্বাচনে জয়ের আশা ব্যক্ত করে বলেন, উন্নয়ন কাজ হচ্ছে চলমান প্রক্রিয়া। এরপরও যে কাজগুলো রয়েছে, সরকারের সহায়তায় সে অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পূর্ণ করা হবে। তিনি বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশনা ও সরকার এখানে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিবে। সে নির্বাচনে জনগন তাদের প্রকৃত মতামত ব্যক্ত করবে। যিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন, তিনিই এ পৌরবাসীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন। প্রচারণায় বাধার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে প্রশাসন তৎফর, তারা আন্তরিকভাবে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করছে।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌর নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, বিজিরি’র সাথে ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণ বিধির দেখার জন্য ৩ জন ম্যাজিস্টেট পৌর নির্বাচনী এলাকায় মাঠে কাজ করবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রার্থীদের অভিযোগ গুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় আছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর কালিয়াকৈর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ পৌর নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।