নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলায় দূর্নীতিবাজ এবং সকল অপকর্মের হোতা আববাস উদ্দীন ও তার সহযোগীদের দূর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় লেখালেখি করতে গিয়ে এক ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে এক সাংবদিক ও তার পরিবার কে। তাদের দেয়া ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা বিনাদোষে দীর্ঘ ১৪মাস জেল খেটে অবশেষে জামিন বেরিয়ে এসেছেন তিনি।
দীর্ঘদিন বিনাদোষে কারাভোগের শারিরিক অসুস্থতার পরেও নিজের সাথে ঘটে যাওয়া নানা বিষয়ের বর্ণানা দেন সেই সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি জাতীয় দৈনিক লাখোকণ্ঠে নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি।
আব্বাস উদ্দীন একজন প্রতারক ও দালাল হিসেবে এলাকায় চিহ্নিত। তার অন্তঃহীন দূর্নীতির কারণে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ।এই আব্বাস উদ্দিন এক সম য়ে কোস্ট ট্রাস্ট এনজিওতে সরকারি রস্ক প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক মাঠ সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কাজ করত।
এবং এই কর্মচারী থেকেই সরকারি রস্ক প্রকল্পের কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।এরপরেই আসে সরকার ঘোষিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করনের সুযোগ।
আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের টাকা কামাতে মরিয়া হয়ে ওঠে জাল জালিয়াতির কারিগর আব্বাস উদ্দিন।
সে একের পর এক প্রায় একশত শিক্ষককে জাতীয়করনের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বয়স ১৮বছরের নিচে, আবার কারো সরকারি চাকুরীর বয়সই ছিলনা।কারো কারো সার্টিফিকেট ছিল ভূয়া।এভাবে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে সেই টাকার বদৌলতে নিজের নাম ঠিকানা সঠিকভাবে লিখতে না পারা জাল জালিয়াতির কারিগর আব্বাস উদ্দিন কিভাবে বনে যান চরফ্যাসনের আমিনাবাদ ইউনিয়নের মাদারতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন।
আমার স্ত্রী রুখসানা আক্তারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদকে জাতীয় করনের আওতায় এনে দেবে এবং চাকুরীকে স্থায়ী করার ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দা হতে হবে বলে আমার স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ড আব্বাস উদ্দিন তার নিজ বাড়ির ঠিকানায় ট্রান্সফার করায়।আমার স্ত্রীর চাকুরি
জাতীয়করন ও আব্বাস উদ্দিনের নিজ জমি লিখে দেয়ার নাম করে ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে
বিভিন্ন ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর আব্বাস চাকুরী জাতীয়করন ও জমির দলিল করে দেয়ার নামে টালবাহানা করতে থাকলে আমি আমার স্ত্রীর সকল টাকা ফেরৎ চাই। আর এতে করে আববাস আমার উপর ক্ষিপ্ত হতে থাকে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে আব্বাস আমাকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিউজের কাজ করিয়ে নিত। আমি আমার স্ত্রীর পাওনা টাকা বারবার চাইলে সে কিছু দিন চুপচাপ থেকে উল্টো আমার,আমার স্ত্রীর ও আমার শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আমাকে গ্রেফতার করিয়ে আটকে রেখে আমার স্ত্রীর কাছে আমার ব্যাংক একাউন্টের চেক বই চায়।আমার স্ত্রী চেক দিতে অস্বীকার করলে আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখায় এই আববাস। আমার স্ত্রীর কাছ থেকে জোরপূর্বক ব্যাংকের চেক লিখে নিতে না পেরে ভয়ভীতি দেখায়, অবশেষে আমার স্ত্রী প্রাণের ভয়ে সন্তানের নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
সাংবাদিক মাইনুল আরো বলেনঃ আমার স্ত্রী যখন আমার সন্তানদের নিয়ে আমার বোনের বাড়ি পাবনায় গিয়েছিল তখন এই আব্বাস তার দলবল নিয়ে আমার স্ত্রীকে অন্য লোকের স্ত্রী সাজিয়ে ধরে আনতে চেষ্টা করছে। এবিষয়ে পাবনা সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। পাবনা থেকে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে আমার পল্লী বিদু্যতের ভাড়া বাসায় আমার এক নিকট আত্মীয়কে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ওয়ালার সহযোগিতায় আমার বাসাবাড়ির তালা ভেঙ্গে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায় আববাস বাহিনীর লোকজন।আমি গত১২/০৯/২০২১ইং তারিখে
জামিনে আসার পর আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ। বাসা লুটপাটের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় আববাস উদ্দীন ও তার সকল সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
আমার লুট হওয়া বাসা থেকে আব্বাসের সকল প্রকার দুর্নীতির ডকুমেন্ট সহ যাবতীয় মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
তবুও ক্ষান্ত হয়নি আব্বাস বাহিনী।
আমার জামিনের পর থেকে আব্বাস বাহিনী কল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমার অবস্থান নির্নয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে।যাদের সাথে আমার ফোনে কথা হয় তাদেরকেও হুমকি দেয়।এবং আমার ব্যবহারকৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে হুমকি সহ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার উস্কানিমূলক এসএমএস পাঠায়।এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় একটি আভিযোগ দায়ের করা সহ সাভার মডেল থানা ও পাবনা সদর থানায় দুটি পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরি করা হয়।তদন্ত সাপেক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।