নৌকার মনোনয়ন পেলেন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী - Meghna News 24bd

সর্বশেষ


Wednesday, November 24, 2021

নৌকার মনোনয়ন পেলেন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী



মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে খাস কামরায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার আসামি কোলা ইউপি চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী আসন্ন নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ধর্ষণ মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন।


দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় অনুপস্থিত, তবে তিনি জামিনে আছেন না কারাগারে রয়েছেন তা বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে এলাকায় তৈরি করেছে চাঞ্চল্য।

জানা যায়, ২০১৯ সালে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলীর খাস কামরায় একটি এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হয়। ইউনিয়ন পরিষদের হোল্ডিং প্লেট বিতরণকারী সাজিদ (২৫) ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠে।

ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। পরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী ও সাজিদসহ তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত মুন্সীগঞ্জে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ৪র্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে কোলা ইউনিয়নের মীর লিয়াকতসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান ও লৌহজংয়ের ২৩টি ইউনিয়নের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়।

মীর লিয়াকত আলীর ছোটভাই জুয়েল মীরের দাবি, তার বড়ভাই মীর লিয়াকত আলী বেশ কয়েক দিন যাবত অসুস্থ। তিনি কথা বলতে পারছেন না। তার ফোন বন্ধ। তিনি পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ধর্ষণ মামলায় বর্তমানে জেলে থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, ২-৩ দিন আগে তিনি জামিন পেয়েছেন। দ্রুত তিনি এলাকায় আসবেন।

সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলা থেকে মনোনয়নের জন্য মীর লিয়াকত আলীর নামসহ আরও কয়েকজনের নাম পাঠানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। জেলে থেকেই তিনি মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছেন। ধর্ষণের মামলায় তিনি অভিযুক্ত নন, মামলাটি চলমান।

মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলছেন, আমরা জানি তিনি মামলার আসামি। আমরা তার আবেদনের সঙ্গে লিখেই দিয়েছি তিনি ধর্ষণ মামলার আসামি এবং বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages