ঘরের ইঁদুর বাঁধ কাটলে কাকে দোষ দেব: প্রধানমন্ত্রী - Meghna News 24bd

সর্বশেষ


Friday, January 28, 2022

ঘরের ইঁদুর বাঁধ কাটলে কাকে দোষ দেব: প্রধানমন্ত্রী



নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে মন্তব্য করে ওই অর্থ কোথা থেকে এসেছে- তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, কত লাখ ডলার এই বিএনপি খরচ করেছে। এই অর্থ কোথা থেকে তারা পেল? এটা তো বৈদেশিক মুদ্রা। বিএনপি এই বৈদেশিক মুদ্রা কোথা থেকে পেয়েছে? কীভাবে খরচ করেছে? কীভাবে এই লবিস্ট তারা রেখেছে? লবিস্ট কীসের জন্য? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানোর জন্য। নির্বাচন বানচাল করার জন্য। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। জঙ্গিদের রক্ষা করার জন্য। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাধা দেওয়ার জন্য। কোনো ভালো কাজের জন্য তো এ কাজ করেনি তারা। 

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা এবং ১৬তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের র‌্যাবের কিছু অফিসারের বিরুদ্ধে আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে। যদি বলি কাদের ওপর? এখন আমাদের বর্তমান আইজিপি, তখন র‌্যাবের ডিজি ছিলেন। হলি আর্টিজানে যখন সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে। মানুষ হত্যা করে। নৃশংস দৃশ্য। পুলিশের দুজন অফিসার সেখানে ছুটে গেলে তাদের গুলি করে মেরে ফেলে। 

‘এরপর আমরা পদক্ষেপ নেই। সেই সময় আমেরিকার যিনি রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি টুইট করেছিলেন- হলি আর্টিজেনের সন্ত্রাসী হামলা বাংলাদেশ একা সমাধান করতে পারবে না। রোজার দিন ছিল। সারারাত আমরা কাজ করেছি। সেহরির সময় পর্যন্ত আমি বৈঠক করি। সবাইকে নিয়ে মিটিং করি। কী করা হবে। কীভাবে অপারেশন চালানো হবে। পরদিন সকাল নয়টার মধ্যে জিম্মিদের উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সফলতার সঙ্গে তাদের আক্রমণ মোকাবিলা করি। এরপরই আমেরিকার অ্যাম্বাসেডর (রাষ্ট্রদূত) টুইট সরিয়ে ফেলেন।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমন করেছি। যেটা বিএনপির সৃষ্টি। যাদের তারা (যুক্তরাষ্ট্র) স্যাংশন দিল, তাদের অধিকাংশ এই সন্ত্রাস দমনে ভূমিকা রেখেছিল। তাহলে এরা কেন আমেরিকার কাছে এত খারাপ হলো? সব থেকে ভালো ভালো অফিসার যারা। আমি আমেরিকাকে দোষ দেই না। ঘরের ইঁদুর বাঁধ কাটলে কাকে দোষ দেব?


তিনি বলেন, করোনায় আমেরিকার আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে গেছে। কিন্তু আমাদের এখানে কেউ দারিদ্রসীমার নিচে যাইনি। বরং দারিদ্র বিমোচনে বিএনপির আমলের ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। বিশ্বাস করি, আরও কমাতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমিত অর্থনীতির মধ্যেও আমরা বিনা পয়সায় করোনার পরীক্ষা করাচ্ছি। প্রায় ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা লাগে এক একটি করোনা পরীক্ষার জন্য। পাশাপাশি বিনা পয়সায় আমরা টিকাও দিচ্ছি। দেশবাসীকে আহ্বান জানাব- যারা ভ্যাকসিন নেননি, ভ্যাকসিন নেবেন। কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা ভ্যাকসিনের জন্য আলাদা বাজেট রেখেছি। ভ্যাকসিনের অভাব হবে না।

সরকারের এখন ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সামনে বোরো মৌসুম আসছে।আমাদের খাদ্যের অভাব হবে না। তবে কিছু কিছু জায়গায় দাম বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের কিছু করা হয়। সেটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। কিছু কিছু সিন্ডিকেট তৈরি হয়। মাঝে মাঝে চেষ্টা করে। আমাদের বিরোধী দল তো কোনো উন্নতি দেখে না।

অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের তখনকার সংসদ সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেবকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করেছিল। সেই হত্যার সঙ্গেও বিএনপি জড়িত, সেটাও বেরিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে এর বিচারের কাজটি বার বার বাধা দিচ্ছে তার পরিবার থেকে। যখনই বিচারের কাজটি শুরু হয় ওমনি তার পরিবার একটা বাধা দিয়ে রাখে। কেন ঠিক জানি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর আমরা রিফিউজি হিসেবে ৬ বছর বাস করেছি দুই বোন। নাম পরিচয়টাও ব্যবহার করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল- সুযোগ পেলে দেশকে গড়ে তুলব। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে দেশে ফিরি। অনেক বাধা-বিপত্তি, অনেক অপপ্রচার শুনতে হয়েছে। লক্ষ্য স্থির করে চলেছি বলে লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছি।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages