হুমায়ুন কবির, গাজীপুর প্রতিনিধি :বাদ্যযন্ত্রের ঝঙ্কার আর দেশাত্মবোধক গানের সুরের মধ্যে ভেসে ওঠা ড্রামের তালের সঙ্গে পা মিলিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে দৃপ্ত কদমে টানা ১০ সপ্তাহ প্রশিক্ষণের পর সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ ৩য় ধাপের সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষ হলো।
গতকাল রোববার সকালে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে ওই প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। এরপর শুরু হয় কুচকাওয়াজ। একে একে মাঠে প্রবেশ করে প্যারেড কন্টিনজেন্ট, প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট, কোম্পানি কমান্ডার, প্যারেড কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ও পতাকাবাহী কন্টিনজেন্ট। একাডেমির কমান্ড্যান্ট ও বিশেষ অতিথির পর অশ্বারোহী দল। তাদের মধ্যে হতে শ্রেষ্ঠ ৩জন প্রশিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।
এসময় মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের সকল স্তরের নির্বাচন, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, ঈদ, দুর্গাপূজা, বিশ্ব ইজতেমা, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বাণিজ্য মেলা, বই মেলা, রেল স্টেশন ও কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মহানগরী এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ৪৯২টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিরাপত্তায় প্রায় ৮ হাজার সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা- বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, জাতীয় সংসদ ভবন, মেট্রোরেল, পদ্মা বহুমুখী সেতু, হোটেল, মোটেল, ইপিজেডসহ গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে ৪ হাজারেরও অধিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় প্রায় ৫৪ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্য নিরাপত্তা দিচ্ছে।”
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান। অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল রফিকুল ইসলাম, উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস্) সামছুল আলম, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি’র কমান্ড্যান্ট উপ-মহাপরিচালক এ কে এম জিয়াউল আলমসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।