গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক ইউপি সদস্য মেম্বার) প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লুট করা হয়েছে তার সাড়ে ২৬ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্রীফলতলী এলাকায় বুধবার দুপুরে। এ ঘটনার পর থেকে সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কায় আছেন সাধারন ভোটাররা।
আহত হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী এলাকার সিরাজ হোসেনের ছেলে শাহিন হোসেন (৪২)।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাত পোহালেই কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে প্রচার-প্রচারনার শেষ সময় ছিল। সময় পেরিয়ে গেলেও প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণা ও টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেন। এর জেরে নির্বাচনের আগের দিন বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শ্রীফলতলী এলাকায় ঘটে হামলা, মারধর ও লুটের ঘটনা। ওই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী দুলাল হোসেন (টিউবওয়েল) ও অপর প্রার্থী উজ্জল হোসেনের (ফুটবল) সমর্থক মিছির হোসেন, রাসেল, জাহাঙ্গীর সহ ৭/৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ছোটনের (মোরগ) সমর্থক শাহিন হোসেনের উপর হামলা ও মারধর করে। এ সময় তার কাছ থেকে ২৬ হাজার ৫০০ টাকা লুট করেছে। তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাকে নানা ধরণের হুমকি দিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় ওই নির্বাচনী এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ ও ভোটারদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ফলে সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কায় আছেন সাধারন ভোটাররা।
আহত শাহিন হোসেন জানান, আমার দাদীর সাথে দেখা করে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে তারা হামলা চালিয়ে আমাকে মারধর করে। এ সময় আমার কাছ থেকে ২৬ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
অভিযুক্ত মেম্বার প্রার্থী দুলাল হোসেন জানান, আমার কেনো সমর্থকরা শাহিনের উপরে হামলা, মারধর ও লুট করেনি। অপর অভিযুক্ত মেম্বার প্রার্থী উজ্জল হোসেন জানান, ওই হামলার ঘটনায় আমার সমর্থকরা ছিল না।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এএম শামসুজ্জামান জানান, ওই ঘটনায় কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।