হুমায়ুন কবির, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। তাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ দূরীকরণে আনসার বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রাখেছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ শান্তির দেশ, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। আর দেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ও ভিডিপি একাডেমীর ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুজিব নগর সরকার গঠনের সময় আনসার সদস্যদের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, রেশন, বেতন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। সদস্যরা যেন ব্যাংক ঋণ নিয়ে কাজ করতে পারে সে জন্য আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক করা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে সমাবেশ স্থলে যোগদেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এসময় বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম তাকে স্বাগত জানান। পরে মন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে প্যারেডস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিবাদন মে সালাম গ্রহণ করেন। এসময় তার সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক খোন্দকার ফরিদ হাসান ও আনসার-ভিডিপি একাডেমির কান্ড্যান্ট উপ-মহাপরিচালক এ কেএম জিয়াউল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০ টায় ভিডিও টেলিকনফারেন্সিং (ভিটিসি)’র মাধ্যমে যোগদান করে সশস্ত্র সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বরাষ্টমন্ত্রী তার বক্তব্যে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের ভূমিকা তুলে ধরে বাহিনীর উন্নয়নে সরকার গৃহিত নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। কুচকাওয়াজে স্বাগত জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাপরচিালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদশে আনসার ও গ্রাম প্রতরিক্ষা বাহিনীর সদস্যদরে মাঝে পদক প্রদান করেন। অসম সাহসকিতা ও বিশেষ কৃতিত্বমুলক সেবামূলক কাজের জন্য বাহিনীর ১৬২ জন সদস্যকে ৮ ক্যাটাগরীতে পদক প্রদান করা হয়। পরে বাহিনীর অর্কেষ্টা দলের পরিবেশনায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মমকা- গান ও সংলাপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।