গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারী বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে অবৈধভাবে দলিল সম্পাদান করে কোটিপতি বনে গেছেন দলিল লেখক সিন্ডিকেট চক্র। উপজেলা সাব-রেজিষ্টার তাদের ওই অনিয়মে সায় না দেয়ায় রোববার দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করছেন দলিল লেখক সমিতি। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ।
উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিস, দলিল লেখক সমিতি ও সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জমির শ্রেনী পরিবর্তন, নকল পর্চা নামজারি জমাভাগ তৈরি ও সরকারী ক গ্রেজেটভুক্ত সম্পত্তিসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে দলিল সম্পাদন করে কোটিপতি বনে গেছেন দলিল লেখকের একটি সিন্ডিকেট চক্র। এতে রাজস্ব থেকে বি ত হচ্ছে সরকার। শুধু তাই নয়, সরকারী নির্ধারিত দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্টী ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয় ওই চক্রটি। এসব অনিয়মের অভিযোগে একাধিক দলিল লেখকের নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। কিন্তু প্রায় বছর খানেক আগে যোগদান করা উপজেলা সাব-রেজিষ্টার মো. আমির হামজা এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এতে ওই দলিল লেখক সিন্ডিকেট চক্রের যেন মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়েছে। তাদের এসব অনিয়মে সায় না দেয়ায় রোববার দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করছেন দলিল লেখক সমিতি। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার সরকারী রাজস্ব থেকে বি ত হয়েছে সরকার। অপরদিকে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ।
কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে চাইলে কালিয়াকৈর দলিল লেখক ও স্টাম্প ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান জানান, দলিলের অবিকল নকল উঠাতে দ্বিগুন টাকা নির্ধারণ করাসহ কয়েকটি কারণে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। তবে আলোচনা করে সমাধান হলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। এছাড়া জমির শ্রেনী পরিবর্তন, নকল পর্চা নামজারি জমাভাগ তৈরি ও সরকারী ক গ্রেজেটভুক্ত সম্পত্তিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অনিয়মের মাধ্যমে এখন আর দলিল হয় না।
উপজেলা সাব রেজিষ্টার মো. আমির হামজা জানান, দলিল লেখকদের কর্মবিরতির বিষয়টি জানা নেই। এখানে প্রতিদিন শত শত দলিল রেজিষ্ট্রী হলেও আজকে মাত্র একটি দলিল রেজিষ্ট্রী করা হয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বি ত হয়েছে। তবে সরকারী বিধি মোতাবেক তাদের কাজ করতে বললে দলিল লেখকরা বিভিন্ন দাবী তোলে সরকারী আদেশের বিরোধীতা করে আসছে। এছাড়া কর্মবিরতির নামে জনগনকে হয়রানি করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।