গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিষ দিয়ে ধানের চারা মারার চেষ্টার ২১ দিন পর এবার রাঁতের আঁধারে সেই ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে ইটের আদলা ফেলে রাস্তা করেছে মাটি ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের উদাসিনতায় মাটি লুটের উদ্দেশ্যে ধান ক্ষেত মেরে রাস্তা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কৃষক।
এলাকাবাসী, কৃষক ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ মার্চ রাঁতের আঁধারে কালিয়াকৈর উপজেলার দরবাড়িয়া এলাকায় হাজী মো. আলী হোসেনের ধানের চারায় পরিকল্পিত ভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাটি লুটেরাগন। কিন্তু তার ফসলি জমির পাশে কৃষি জমি এবং বংশাই ও ঘাটাখালী নদীর মিলিত স্থানের আশপাশের ফসলি জমির মাটি লুটের চেষ্টা চালায়। এ জন্য বিষ প্রয়োগ করে ধানের চারা মেরে রাস্তা বানানোর চেষ্টা করে মাটি খেকু ব্যবসায়ীরা। ওই ঘটনার পরের দিন জমির কেয়ারটেকার সাইফুল আলম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথক দুটি অভিযোগ দেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। বিষ দিয়ে ধানের চারা মারার ২১ দিন পর এবার গত রোববার রাঁতের আঁধারে সেই ধান ক্ষেতে ইটের আধলা ফেলে রাস্তা করেছে মাটি ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় ওইদিন রাঁতেই জমির মালিকের অপর কেয়াটেকার আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে সোহেল ও আতিক নামে দুই মাটি ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরের দিন সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরেও একটি অভিযোগ দেন জমির মালিকের পক্ষে। কৃষকের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসিনতায় বিষ দিয়ে ধানের চারা মেরে এবার রাঁতের আঁধারে ধানক্ষেতে ইটের আধলা ফেলে রাস্তা তৈরি করেছে মাটি ব্যবসায়ী দুবৃর্ত্তরা। এটাও পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার পর প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে এভাবে একের পর এক ক্ষতি করতে পারতো না বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
ভোক্তভোগীরা জানান, গত বছর একই ব্যক্তি আমাদেও সরিষা ক্ষেত নষ্ট করে রাতের আধাঁরে ড্্রামট্্রাক দিয়ে মাটি নেয়ার জন্য রাস্তা নির্মান করে। পরে অভিযোগ দিলে প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই রাস্তায় মাটি নেয়া বন্ধ হয়।
অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, সেখানে রাস্তা বানানোর বিষয়ে আমাদের নামে থানায় অভিযোগ হয়েছে। তবে ধান ক্ষেত নয় এটা সরকারী রাস্তা বলে তিনি ফোন কেটে দিন।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসাইন জানান, রাঁতের আঁধারে ধান ক্ষেতে রাস্তা তৈরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাত জানান, ওই বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।