নিজস্ব প্রতিনিধি : নানা অনিয়ম ,দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা, অর্থ আত্মসাৎ, ক্লাবের মূল্যবান কাগজপত্র ও মালামাল হস্তগত করা, সিনিয়র সদস্যদের সাথে অসাধাচারণ, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাবার পর জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা এবং ক্লাবের সদস্যদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ প্রদানসহ নানা অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাব থেকে আজীবনের জন্য সাবেক সভাপতি শাহ আলম কে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য বিগত ক্লাব পরিচালনা কমিটির মেয়াদকাল গত ৭ই মার্চ অতিক্রান্ত হওয়ায়, ঐ কমিটি কে বিলুপ্ত ঘোষনা করে ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে গত ২৫ শে মার্চ শুক্রবার সকাল ১১টায় ক্লাবের অভ্যান্তরে এক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সদস্যদের সিন্ধান্তক্রমে সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন কে আহবায়ক ও সদস্য মইন দেওয়ান কে যুগ্ন আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত আহবায়ক কমিটির কাছে ক্লাবের সদস্যরা শাহ আলমের ব্যপারে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ পেশ করে। পরে আহবায়ক কমিটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে তাদের উপর তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ১০দিনের সময় বেধে দেয়। সময় শেষে তদন্ত কমিটির চুড়ান্ত প্রতিবেদনে শাহ আলমের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পায়। যার ফলশ্রুতিতে আহবায়ক কমিটি তাকে আজীবনের জন্য বহিস্কার ও সদস্যপদ বাতিলের সিন্ধান্ত গ্রহন করে।
শাহ আলমের বহিষ্কার প্রসঙ্গে অত্র ক্লাবের আহবায়ক কামাল হোসেন গণমাধ্যম কে জানান, শাহ আলমের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক গত ১০-১-২২ইং তারিখে সদস্যরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়, এরপর গত ২৫শে মার্চ আহবায়ক কমিটি গঠনের পর সদস্যরা তার বিরুদ্ধে লিখিত মৌখিক অভিযোগ করে, তার ভিত্তিতে ঐ দিন ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা তারা দশ কার্য দিবসের মধ্যে শাহ আলমের বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হয় বিধায় গত ০৮.০৪.২২ইং তারিখে তাকে আজীবন বহিস্কার ও সদস্যপদ বাতিলের সিন্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তা কার্যকর করা হয়। তিনি আরো বলেন, এখন থেকে শাহ আলম আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের কেউ নয়, সে যদি কোথাও সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অর্থিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে তবে তাদের নিকট অনুরোধ তাকে আটক করে থানায় কল করুন। তার পরেও কোন প্রকার লেন দেন করিলে তাহা নিজ দায়িত্বে করিবেন, এ জন্য সংগঠন দায়ী থাকবে না।