কে এই শাহ আলম ওরফে চান্দা ? ২টাকার চা বিক্রেতা থেকে বিরাট সাংবাদিক - Meghna News 24bd

সর্বশেষ


Saturday, April 30, 2022

কে এই শাহ আলম ওরফে চান্দা ? ২টাকার চা বিক্রেতা থেকে বিরাট সাংবাদিক

 

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ এমন কোন অন্যায় বাদ নেই তার তালিকায় ! কি করেনি এই সাংবাদিক নামধারী ভয়কংর সন্ত্রাসী শাহ আলম ওরফে চান্দা ? 

তার অপকর্মের ফিরিস্তি দিতে গেলে রাত ভোর হয়ে যাবে তবুও শেষ হবে না তার অন্যায় মূলক কর্মকান্ডের ইতিহাস ।

কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার  বাইশগাঁও গ্রামের উত্তরকূল এলাকার বেপারি বাড়ির এক দত দরিদ্র পরিবারের মৃত আলী আরশাদ বেপারির ৪ ছেলে ২মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছেলে শাহ আলম । তার বাবা আলী আরশাদ গ্রামে গ্রামে পায়ে হেটে বাচ্চাদের গুঙ্গুর, নানা রকম টোটকা করিরাজি করতো । এক বেলা খেয়ে আর একবেলা না খেয়েই তাদের দিন কাটতো । ক্লাস ফাইভে পর্যন্ত পড়ার পর আর এগুয় নি শাহ আলমের লেখা পড়া । 

শাহ আলমের সম্পর্কে তার পৈত্রিক নিবাস বেপারি বাড়ি প্রায় সত্তোর উর্ধ বেশ কয়েকজন প্রবীণ ব্যাক্তি কে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, তার নাম আমরা জানি চান্দা,,ও তো স্কুলের গন্ডিও পার হয়নি, সে আবার কিছুদিন আগে বাড়ি আইসা কইলো ও নাকি সাম্বাদিক হইছে ।  কেউ জানে না তার মাধ্যমিক গন্ডি পার হবার বিষয়ে। তাদের সাথে আলাপের সূত্র ধরেই জানাযায় তার সম্মন্ধে অজানা ইতিহাস। 

তারা জানান, খুবই গরিব ঘরের ছেলে এই চান্দা ওরফে শাহ আলম । দুরন্তর প্রকৃতির আর ধুর্ত চালাক ছিলো এই শাহ আলম । ফসলের মাঠে তাদের জমিজমা না থাকায় এক সময় মানুষের ক্ষেত খামারে কামলা দিয়ে জীবন চলতো তার এবং তার পরিবারের অন্যানো সদস্যদের। এভাবে চলতে চলতেই এক সময় বিয়ে করেন শাহ আলম । আয় রোজগার কম থাকায় প্রায় সময় সংসারে তার ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো ,,যৌতুকের দাবীর কার একটা সময় বউ চলে যায় বাপের বাড়ি ।  বউ কে বার বার ফেরত আনতে গিয়ে ব্যার্থ পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পুরো দস্তুর পাগলে হয়ে যায় শাহ আলম ওরফে চান্দা । যেখানে সেখানে পথেঘাটে  ন্যাংটা হয়ে  ঘুরে বেড়াতো , তার শরিলে কোন কাপড় চোপড় থাকতো না, এক পর্যয়ে একদম বদ্ধ পাগল হয়ে যায় শাহ আলম ।

 যুবক বয়সে এমন পাগল হওয়াটা গ্রামবাসীরা অনেকে সহজে মেনে নিতে পারেনি । তাই গ্রামবাসি রা নিজেরদের মধ্যে চাঁদা উঠিয়ে তাকে দীর্ঘ তিন বছর পাগলাগারদে রেখে চিকিৎসা করে  তাকে সুস্থ করে।

 সুস্থ হবার পর তার চাচা মৃত ইউনুস মিয়া তাকে নোয়াখালীর চাটখিল থানার মৃত হাসান আহম্মদ এর মেয়ে জোহরার সাথে দ্বিতীয় বিয়ে দেয় তার এই ঘরেই জন্ম নেয় সাথী বিজয় সিয়াম নামে তিন সন্তান রয়েছে। একটা সময় মানুষের জমিতে কামলা দিয়ে সংসার না চলায় পাড়ি জমায় চট্টগ্রামে । সেখানের টাইগারপাস সংলগ্ন আমবাগান রেলওয়ে কলোনির বস্তিতে শুরু হয় তার বসবাস। 

বেঁচে থাকার জন্য শুরু করে চট্টগ্রামের পাহাতলী রেল স্টেশনে পত্রিকা বিক্রির কাজ ।  পোষাকে আশাকে চটককদার না হলেও এই প্রতারক কথায় ছিল দারুণ পটু । পত্রিকা ব্যবসার সুবাধে পরিচয় হতে থাকে সমাজের এবং রেলের কিছু কর্মকর্তার সাথে তাদের খুশি করতে বিভিন্ন সময় নানা উপঢৌকন দিয়ে তাদের হাত করতো । তাদের সাথে চলা ফেরার সময় চট্টগ্রামে পাহাড়তলীতে অবস্থিত আবাসিক হোটেল ড্রিমের নিচতলায় একটি পত্রিকা বিক্রির দোকান দেয় শাহ আলম । দোকানটি ছিল তার সাইনবোর্ড, আসলে সে তখন হোটেল ড্রিমে পতিতাদের খদ্দের সাপ্লাই দিতো ।

 এই সময় সে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বেশ"কজ কে বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা ।  সময়মত তাদের চাকরি দিতে না পারায় টাকার জন্য লোকজন চাপ দিলে সেখান থেকে গোপনে রাতের আধারে পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়ে চলে আসে সাভারের আশুলিয়ায় । এখনে এসেই ডিইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় গুরে বেড়ায় চাকরির জন্য,, কিন্ত আন্ডার মেট্রিক হওয়ায় কোন কারখানায় চাকরি না পেয়ে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল মোড়ে গফুর চেয়ারম্যানের জায়গায় একটি ছোট্ট চা দোকান দিয়ে ২টাকা কাপ চা বিক্রি করে জীবাকা নির্বাহ শুরু করে । পাশাপাশি বউ কে দেয় পুরাতন ডিইপিজের চেগি গার্মেন্টন্সে হেলপারের চাকরি । 

তার বউ চাকরি করার দরুন ছোট বাচ্চা দুটি কে দেখভালের জন্য আপন শালি কে নিয়ে আসে তার স্ত্রী । শাহ আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী জোহরা মোটেই সুন্দর সুশ্রী ছিলো না, অন্যদিকে তার শালি নাজমা তখন সুন্দর সুশ্রী ফর্সা নাদুস নুদুস গড়নের সদ্য এক কিশোরী । 

আর লম্পট শাহ আলমের চোখ পড়ে তখন তার শালীর দিকে, স্ত্রীর অনুপস্থিতে প্রায় সময় ফুসলিয়ে শালি নাজমার সাথে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় মানুষ রুপি এই নর পিশাচ । 

পরে শালী নাজমা গর্ভবতী হয়ে পড়ে আর তখন বিষয়টি নজরে আসে তার স্ত্রী জোহরার । সে তখন তার বোন কে মেরে তাড়িয়ে দেয় কিন্ত ততদিনে তার বোন একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় । বর্তমানে শাহ আলমের তৃতীয় স্ত্রী সেই তার শালি নাজমা ।

 ইসলামের বিধান অনুযায়ী দুই বোন কে নিয়ে সংসার করার বিধান না থাকলেও এই নাজায়েজ সম্পর্ক এখনো অব্যাহত রেখেছে শাহ আলম । 

এছাড়াও সাভারের হেমায়েতপুর নতুনপাড়ায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে তার ছিলো পরকীয়ার সম্পর্ক, এলাকাবাসী বিষয়টি জেনে গেলে তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয় ।

 এই হলো এই সাঙ্ঘাতিক মানুষরুপি সাক্ষাৎ শয়তানের চরিত্র। 

চা দোকান দেয়ার সময় আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় বসবাস করতো সাংবাদিক ইসরাইল শিকদার, তাকে ম্যানেজ করেই একটি অখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকার কার্ড বাগিয়ে নিয়ে হয়ে যায় সাংবাদিক । ভাদাইলের স্থানীয় বেশ"কজ জানায় শাহ আলম এক সময় অত্র এলাকায় প্রভাবশালী মদখোর ব্যাক্তিদের কাছে বিদেশি মদ বিক্রি করতো ।

 ধুরন্ধর চালাক আর ধৃত প্রকৃতির এই ব্যাক্তি এক সময় অত্র এলাকায় ইদ্রিস দেওয়ান প্রতিষ্ঠিত প্রেসক্লাব কে নিজের প্রতিষ্ঠিত ক্লাব বলে দাবী করে নানা বিতর্কের জন্ম দেয় । নিজেকে বিরাট সাংবাদিক হিসেবে দাবী করা এই ব্যাক্তি অদ্যবদী  তৈলাক্ত নিউজ ব্যাতিত তেমন কোন নিউজ করতে পারেনি ।

যারা তার লেখা সংবাদ গুলো পড়েছেন তারা দেখেছেন তার লেখা সংবাদ গুলো কতটুকু সংবাদের আওতায় পড়ে । তার সাংবাদিকতা মানেই যার তার বিরুদ্ধে লিখে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া । নতুবা তেলাক্ত লিখে টুপাইস কামানো । 

বিগত দিনে মোটা টাকার বিনিময়ে যুক্ত হওয়া মাই টিভির প্রতিনিত্ব চলে যায় শুধুমাত্র মাইটিভির নাম ভাঙ্গিয়ে তার সীমাহীন চাঁদাবাজীর কারণে । 

আশুলিয়া প্রেসক্লাবে এক সময় সভাপতি থাকা কালে নানা রকম দুর্নীতি অর্থ আত্মসাৎ ও প্রেসক্লাবের গেইট চুরির মত ঘটনার সাথে শাহ আলম সরাসরি সমৃক্ত বলে দাবী করেছে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ । আর সেই গেইটটি তার ভাদাইলের বাড়িতে এখনো ব্যবহরিত হচ্ছে বলে জানান তারা। 

প্রেসক্লাবের বেশ"কজ সদস্য জানায় তার অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় তারা সরাসরি তার হামলার শিকার হয়েছেন এবং তার দেয়া মিথ্যা মামলায় বিনাদোষে জেল খেটেছেন । তার সম্মন্ধে বলতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংবাদিক কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং তাকে দুহাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে অভিশাপ দিতে থাকেন । তারা তাকে মামলাবাজ বলেও অখ্যাদেন । তার স্বভাব এতই নিকৃষ্ট যে ক্লাবের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাড়ানোর পর টাকার বিনিময়ে নিজের ভোট টাও বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে । 

অনেকে তাকে এক ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে অখ্যা দিয়ে বলেন তার অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তার বিরুদ্ধে নেমে আসে স্টিমরোলার । 

প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য কে ফাঁসাতে গিয়ে , মেয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলা দেয়ার বিষয়টি প্রমানিত হলে তাকে প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়। 

তার বিরুদ্ধে কেহ মুখ খুললে তার উপর নেমে আসে ঝড় । সে তাকে বানিয়ে দেয় জামাত শিবিরের কর্মী দুশ্চরিত্র সমাজের নিচু শ্রেণী ইত্যাদি ইত্যাদি । 

তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ বেশ ক"জন জন জানান, তাদের নামে মিথ্যা নিউজ করে টাকা দাবী করে শাহ আলম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামলার ভয় দেখায় শাহ আলম । 

এক সময় নিজেকে বিএনপির কর্মী পরিচয় দিয়ে  বিএনপির নেতা মোখলেছুর রহমান খান ইলিয়াস শাহীর নজরে আসে তেলবাজীতে পটু শাহ আলম। ইলিয়াস শাহী তাকে তার  সাপ্তাহিক পত্রিকা পল্লী সাভারে কাজের সুযোগ দেয়। ইলিয়াস শাহীর নিজ অর্থে কিনে দেয় সিঙ্গার নামের ১২৫সিসির একটি মোটর সাইকেল । পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে সে হয়ে যায় আওয়ামীলীগ ।

২০১৬ সালে হাসানুল হক ইনু তথ্যমন্ত্রী থাকা কালে জাসদের এক কর্মীর মাধ্যেমে যোগ দেয় জাসদে উদেশ্য মন্ত্রীকে দিয়ে সহজে নানা ফায়েদা হাসিল করা । কিন্ত ২০১৮ সালের পর ইনু আর মন্ত্রীত্ব পায়নি তখন কি আর করা এ দলে থেকে আর লাভ কি? ফায়দাবাজ আর কায়দাবাজ শাহ আলম এবার সখ্যাতা গড়ে তোলেন আশুলিয়া অঞ্চলে কৃষকলীগের প্রবীণ নেতা সাবেক ঢাকা জেলা উত্তর কৃষকলীগের সভাপতি মিয়া আব্দুর রহিমের সাথে । 

মিয়া আব্দুর রহিমের হাত ধরে তৎকালীন কৃষকলীগের সভাপতি কাছ থেকে মৌখিক একটি পদ পেয়েই শুরু হয় এবার তার নতুন এক মিশন। একে ওকে দলে ভিড়ানো টাকার বিনিময়ে পদ বানিজ্যসহ নানা অপকর্মের। শাহ আলমের বিরুদ্ধে এ সময় একটি ঘোরতর অভিযোগ উঠে নাশকতা মামলার আসামী বিএনপির এক নেতাকে টাকার বিনিময়ে পদ পাই দেয়ার মত জগন্য অভিযোগ। 

২০১৯ সালে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নতুন কমিটি এলে পদ হারায় শাহ আলম । বর্তমানে কিছু বিএনপির নেতা কে হাত করে তাদের টাকায় আবারো কৃষকলীগের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতির পদ বাগিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাহ আলম ।

 দীর্ঘদিন ধরে কৃষকলীগের সাথে যুক্তথাকা অনেক নেতাকর্মী প্রশ্ন তোলেন শাহ আলমের মত পল্টিবাজ কিভাবে কৃষক না হয়ে কৃষকলীগ নেতা হয় তার মত ব্যাক্তির তো কৃষকলীগের সদস্য হবার যোগ্যতাও নেই । 

সে কখনো সাংবাদিক কখনো কৃষকলীগ আসলে তার মূল পরিচয়টা কি?

প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কৃত হবার পর ঢাকা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন নামে বগাবাড়ি বাজরে একটি সাংবাদিক সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা করে শাহ আলম, যার মেয়াদকাল ছিলো মাত্র তিন মাস । তার সিমাহীন দুর্নীতি, সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে বিলুপ্ত হয়ে যায়  সংগঠনটি। 

 আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইসরাইল শিকদার মারা যাবার পর কৌশলে সে ঐ সংগঠনের সদস্য হয় তার পর সুকৌশলে সভাপতি হয় । আর পদটি দখল করেই ফিরে আসে তার পুরোনো চেহারায়, ক্লাবের নির্মানের নাম ভাঙ্গিয়ে অত্র অঞ্চলের বিশিষ্ট জনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আত্মসাৎ, ক্লাবের নামে নানা রকম অনুষ্ঠানে অয়োজন করে আদায় কৃত অর্থ আত্মসাৎ, গুণিজন সম্মাননার নামে ক্লাবের টাকায় তৈরিকরা বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে দেয় ক্রেস্ট হতে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাৎ করা, অনুষ্ঠান শেষে টাকার হিসেব চাওয়ায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন কে মেরে ক্লাব থেকে বের করে দেয়া এই জগন্য মানুষরুপি সন্ত্রাসী শাহ আলম কাজ । এছাড়াও অত্র ক্লাবের উপদেষ্ঠা  ধামসোনা ইউপি আওয়ামীলীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি লতিফ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান কে সংবর্ধনা দিতে চাওয়ায় সাধারণ সম্পাদক আর শাহরিয়ার বাবুল থান গত ১১ই ফেব্রুয়ারী ২২ইং সন্ধায় আশুলিয়া ভাদাইল জব্বার মার্কেটে রিপনের দোকানে মেরে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে ।

 শাহ আলমের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধাচারি সাংবাদিক হান্নান চৌধুরী,  আল শাহরিয়ার বাবুল খান, মারুফ হোসেন, আব্দুর রশিদ,রুহুল আমিন,নাছিম খান, রিপন মিয়া, লুৎফর, মাসুদ রানা, শফিুকুল ,শাহিন ,কামাল হোসেন, ফিরোজ আলম ও মেহেদী হাসান  সহ অনেকের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন মনগড়া আজগুবি সংবাদ প্রকাশ করে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে । এছাড়াও তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে সে । তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অসংখ্য জিডি অভিযোগ ও মামলা রয়েছে । তার পরেও কোন এক অজ্ঞাত কারণে সে থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে ।

বিভিন্ন সময়  ক্লাবের কোন সদস্য তার অনৈতিক কর্মকান্ডের  বিরুদ্ধে  অবস্থান নিলেই তাকে নিয়ম কানুন না মেনে বহিষ্কার করে শাহ আলম । 

ক্লাবের ক্ষমতা সারাজীবন কুক্ষিগত করতে যাকে তাকে যখন তখন সে তার ভাই হকার লিটন ও তার ছেলে জসিম উদ্দিন বিজয় কে দিয়ে হামলা করে , মিথ্যা মামলা দিয়ে কুপোকাত করতেও পিছপা হয় না সে ।

শাহ আলমের বিরুদ্ধে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, ২০২০/২১ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর নানা বিধ কারণে বেশকিছু পদ যেমন সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক, সমাজকল্যান সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ গুলো শূণ্য হয় সংগঠনের গঠন তান্ত্রিক নিয়মে এ পদ গুলোতে আবারো সংগঠনের সদস্যদের মাঝে নির্বাচনের নিয়ম থাকলেও সে তা না মেনে ক্লাবের বহিরাগত সদস্য নয় এমনকি তারা পেশাদার সাংবাদিকও নয় এমন ব্যাক্তিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহ-সভাপতির পদ দেয় এরা কেউ ফার্মেসীর ওষুধ বিক্রেতা, কেউ মুদি দোকানদার আবার কেউ ডিস ব্যবসায়ী, এছাড়াও বাইপাইলের এক হোটেল ব্যবসায়ীকেও টাকার বিনিময়ে সদস্য করেছে যিনি কোন সাংবাদিক নয়, তার তালিকায় রয়েছে চলমান পত্রিকার হকার নামধারী আন্ডার মেট্রিক সাংবাদিকও । এছাড়াও তার চ্যালাপ্যালাদের সে ঐ শূণ্য পদ গুলোতে বসিয়ে তার হাতকে আরো শক্তিশালী করেছে শাহ আলম । নিয়ম তান্ত্রিকভাবে গত ৭মার্চ ২২ইং ২০২০/২১সালের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হবার পরে গত ১০ই মার্চ শাহ আলম তার ঐ বিতর্কিত কমিটি নিয়ে সদস্যদের মতামত কে উপেক্ষা করে নিজে নিজে ক্লাবের গঠন তন্ত্রের পরিবর্তণ করার চেষ্টা এবং ক্লাবের সদস্যদের বাদ দিয়ে তার ইচ্ছে মাফিক সদস্য তালিকা প্রণয়ন করে যা কোন সাধারণ সাধারণ সভা ডেকে সদস্যদের ভোটে করেনি বিধায় সদস্যরা তার এমন বিতর্কিত সিন্ধান্ত কে মেনে নেয়নি । তারা নানা অনৈতিক অবৈধ কর্মকান্ডের কারণে গত ১০/২/২২ইং তারিখে তাকে অনাস্থা ও গত ২৫শে মার্চ তারিখে গঠন করে আহবায়ক কমিটি ।

অত্র ক্লাবের সদস্যরা আহবায়ক কমিটির কাছে তার সিমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করে, তার অভিযোগ যাচাই বাছাইয়ের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। কমিটি তার ব্যপারে তদন্ত করে ১০কার্যদিবসের মাঝে রিপোর্ট প্রদান করে। সে রিপোর্টের ভিত্তিতে শাহ আলম কে আজীবনের জন্য বহিষ্কার ও তার সদস্যপদ বাতিলের ঘোষনা দিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে তার বহিস্থার নোটিশটি প্রকাশ করে। যা ইতিমধ্যেই অত্র অঞ্চলে বসবাসরত সকলেই জেনেছে ।

 অত্র ক্লাবের সদস্যরা জানান, আমাদের ক্লাবের  উন্নয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা জনের কাছ থেকে অর্থ এনে নিজে আত্মসাৎ করে, এই ক্লাবের টাকা দিয়ে শাহ আলম তার গ্রামের বাড়িতে ফাউন্ডেশন করে ছাদ দিয়ে একতলা একটি ভবন নির্মাণ করেছেন। নুন আনতে পান্ত ফুরানো এই ব্যক্তির ছেলে কিভাবে মাসে ২০/৩০হাজার টাকা খরচ করে বেসরকারি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে পড়ায় । 

আমাদের জানামতে সে সাংবাদিকতায় করে মিডিয়া থেকে কোন বেতন পান না? তবে সে কিভাবে এত টাকা খরচ করেন? 

তারা আরো বলেন ক্লাবের নামে অপ্রদর্শিত আয় থেকেই তার সংসার পরিচালিত হয় তাই সে এ ক্লাবের সভাপতি পদটি চিরজনমের মত আকড়ে ধরে রাখতে চান । কেউ কেউ তিরস্কারের সহিত বলেন, তার কোন মান সম্মান নেই তার শুধু সভাপতি পদ চাই । সে ক্লাবের কোন সদস্যদের মতামত না নিয়েই সম্পর্ণ একক সিন্ধান্তে ক্লাবের সামনে একটি চা দোকান তার ভাইকে দিয়ে রেখেছে । 

তার ভাই লিটন দোকানটি ভাড়া দিয়ে মাসে মাসে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। 

তারা আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার স্থানীয় আলেক জানান, শাহ আলম আমার বিরুদ্ধে তার ক্লাবের জাহাঙ্গীর আলম প্রধান নামে একব্যাক্তি কে দিয়ে নিউজ করায় পরে আবার শাহ আলম এসে আমার পক্ষে নিউজ করে টাকা নেয় এ হলো তার ব্যবসা ।

ভাদাইলের বহুল আলোচিত কিশোর গ্যাং কতৃক এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার কৃত এক কিশোর কে জামিনে বের করে আনার কথা বলে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় শাহ আলম। 

বেশ কয়েক বছর আগে ঘোষবাগের সাবেক মাদক বিক্রেতা জানান, আফগারির হাতে আটক হওয়া তার স্ত্রী কে একদিনের ভিতর জামিনের কথা বলে শাহ আলম তার কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা নেয় কিন্তু সে আমার স্ত্রী কে কোনভাবেই জামিন করাতে পারেনি পরে আমি টাকা ফেরৎ চাইলে সে আমাকে উল্টো মামলার ভয় দেখায়। একটি টাকাও ফেরৎ দেয়নি ।

আশুলিয়া ইউনিয়নের সাধু পাড়া এলাকায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক বৃদ্ধ কতৃক শিশু কে ধর্ষণের অভিযোগ জানতে পেরে সেই বৃদ্ধ ধর্ষককে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে সে । 

একই মাসে বাইপাইলের মাছ বাজারে ব্যবসায়ীদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে, তাদের অকথ্য গালি গালাজ করতে থাকলে উপস্থিত  ব্যবসায়ীরা তাকে গণধোলাই দেয় । পরে প্রেসক্লাবের এক সদস্যর মধ্যেস্থতায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয় ।

বেশ কয়েক বছর আগে জিরানী বাজারে এক হোমিও চিকিৎসক কে ভূয়া চিকিৎসক অখ্যা দিয়ে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে অর্থ আদায় করে শাহ আলম ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক নিকট আত্মীয় জানান, ব্যবসায় লোকসানের দরুন তার কাছে থেকে আমি  টাকা ধার নেই, এই টাকার পরবর্তী সময়ে আমি তাকে সমপরিমাণ টাকা সুদ দেই তবুও সে আরো টাকা দাবি করে এক সময় আমার এ দোকান কেড়ে নিতে চায়, এই হলো তার স্বভাব । 

আলী হায়দার নামে ভাদাইলের এক বাড়িওয়ালা জানান, শাহ আলম ওরফে চান্দা আমার গ্রামের বাড়ির ছেলে, তার অস্বচ্ছলতা দেখে আমার ক্রয়কৃত জমিতে দুটি সেমিপাকা রুম করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে তাকে ও তার পরিবার নিয়ে থাকতে দেই বিনা ভাড়ায় । কিন্ত এই বাটপার নানা সময় নানা চুতায় আমাকে বাড়ি রক্ষনা বেক্ষনের কথা বলে ভূয়া ভাউচার তৈরি করে টাকা দাবী করতো । এক সময় সে আমার এ জায়গা দখলের পায়তারা করে ,পরে আমার বাসা থেকে তাকে বের করে দি । আসলে ওর মত অপদার্থ যে পাতে খায় সে পাই ফুটো করে ও কোন মানুষ নয়, ও মানুষ নামের একটা জানোয়ার । 

আশুলিয়ার এক প্রবীণ সাংবাদিক নূর হোসেন জানান, তাকে আমি আর সাংবাদিক মাসুদ রানা  আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য করি, শেষে সে আমারি সদস্যপদ বাতিল করে বিনা কারণে অবৈধ পন্থায় বিনা নোটিশে ।  আর সাংবাদিক মাসুদ রানা তার নানা অন্যায় মূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায়, তাকে হুমকি দিয়ে হামলা করে তার নামে মিথ্যা দিয়ে কোন প্রকার প্রমাণ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে তাকে জামাত শিবির বানিয়ে ভিডিও ছেড়ে তার সম্মানহানী করছে  এই হলো এই নিমক হারামির চরিত্র । 

জনাযায় ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া বে-আইনীভাবে বিশেষ বিশেষ দিবসে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পল্লী সাভার পত্রিকায় নেতাদের তেলবাজি আর নানা জন কে ফাঁসাতে কালক্রমে দু একটি সংখ্যা বের করে এই প্রতারক । তার বসবাসরত এলাকা ভাদাইলের জব্বারর মার্কেট সংলগ্ন বাসায় অবৈধ গ্যাস লাইনের সংযোগে জ্বলছে ডাবল বার্নারের ৪টি চুলা এছাড়াও সে আরো দু"টি বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতিমাসে তাদের থেকে চুলা প্রতি টাকা আদায় করছে । তার বাসার পাশেই  তার ভাই লিটন মিয়ার  বাসাতেও চলছে অবৈধ উপায়ে সংযোগ দেয়া দেয়া গ্যাস লাইন, জ্বলছে ডাবল বার্নারের দুটি চুলা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাদাইলের অসংখ্য বাসিন্দা জানিয়েছে তাদের তার দ্বারা তাদের ক্ষতিগ্রস্তের কাহিনি যা পরোবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে আসবে । 

তারা আরো জানান, শাহ আলম আসলে কোন সাংবাদিক নয় সে তার নানা অপকর্ম গুলোকে আড়াল করতে সাংবাদিকতাটাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে।। 

এলাকাবাসী এই জনগ্য প্রতারকের নানা অপকর্মের জন্য প্রসাশনের নিকট তাকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার ও শাস্তি দাবী করেন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা । ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিক সমাজ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে  জানান । 

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages