নিজস্ব প্রতিনিধি :
রবিবার সকাল ১১টায় সাভারের নির্বাচন অফিসে নির্বাচনী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বন্টন করবেন। একে একে আসতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা সর্বশেষ সাত জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বিতরণ শুরু হবে আজ।
যথারীতি শুরু হলো প্রতিক বিতরণ, নৌকা প্রতিকটি নিয়ম মাফিক দলীয় প্রতীক হওয়ায় তা পেয়ে গেলেন দলীয় প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মুসা। দেলোয়ার হোসেন চশমা ও আব্দুর রহিম হাতপাখা মার্কা বেঁচে নিয়েছেন।
বাকী রইলো ৪জন , স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পছন্দের শীর্ষে আনারস প্রতীকটি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এই প্রতীকে জয়লাভ করে বলে তাদের বিশ্বাস।
বিগত দিনে মরহুম সৈয়দ আহমেদ ভূইয়াও এই ইয়ারপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে জয়লাভ করেন। আর তাই তারই পুত্র সুমন ভূইয়াও নৌকার মনোনায়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এই প্রতিকটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
কিন্তু বিধিবাম এই আনারস প্রতিকটির জন্য ইতিমধ্যেই ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রস্তুত হয়ে আছেন।
উপস্থিত সুমন ভূইয়াও অনেকটা বিমর্ষ কারণ দলীয় প্রতীক পাবার আগে তার বাবাও এই প্রতীকে নির্বাচন করে জয়লাভ করে তাই এই প্রতীকের উপর তার দুর্বলতা অনেকাংশে কিন্তু কি আর করা প্রত্যাশী যেহুতু ৪ জন তাই প্রতীকটি পেতে শেষ ভাগ্য নির্ধারণ করবে লটারি।
বিমর্ষ আর মলিন মুখে সাভার উপজেলার নির্বাচন কমিশন অফিসে নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে বসে আছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের একান্ত প্রত্যাশী সুমন ভূইয়া। ভেতরের পরিবেশটাও অনেকটা ঘুমোট, কারণ এবার আনারস প্রতীক নির্ধারণের পালা ঠিক সেই সময় হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা ঘটে গেল ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আকবর হোসেন মৃধা যিনি নিজেও আনারস প্রতীক প্রত্যাশী, তিনি নির্বাচনী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কে অনুরোধ করলেন লটারি ছাড়াই আনারশ প্রতীকটি সুমন ভূইয়াকে দিয়ে দিতে।
মুহুর্তে মধ্যে এক অন্যরকম আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হলো এই অফিস কক্ষে।
যেখানে এমনও ঘটনা আছে যে নির্বাচনে প্রতীকের জন্য নানা রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কখনো প্রতীকের ব্যাপারে কখনো ছাড় দেয় না।
তারা তাদের মনের মত প্রতীক পেতে মরিয়া হয়ে উঠে সেখানে অকবর মৃধার এই মহানুভবতা দেখে মুখে হাসির ঝিলিক ফিরলো সুমন ভূইয়ার মুখে।
আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করলো সুমন ভূইয়ার সাথে আসা নেতাকর্মীদের মাঝে।
আর ইতিহাস স্বাক্ষী রইলো আকবর মৃধার এই মহানুভবতার কাছে।
যিনি তার প্রত্যাশী প্রতীকটি সমন ভূইয়া কে দিয়ে নিজে নিলেন অটোরিস্কা প্রতীক। সতন্ত্রপ্রার্থী বকুল ভূইযা নিলেন ঘোড়া মার্কা ও আবুল হোসন ভূইয়া নিলেন মোটর সাইকেল প্রতীক।
উপস্থিত সেই কক্ষে সাংবাদিক ও প্রার্থীদের সর্থকরা অবলোকন করলো বিপক্ষ প্রার্থীকে ছাড় দেয়ার মনমানসিকতা সম্পন্ন এক অন্য মানুষ আশুলিয়া থানা শ্রমিকলীগের আঞ্চলিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইয়ারপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আকবর মৃধা কে।
এ প্রসঙ্গে আকবর হোসেন মৃধার কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী, সবার চাওয়া মোতাবেক, আমারও চাওয়া ছিলো আনারস প্রতীক। কিন্তু বিগত দিনে আমার ভাই মরহুম সৈয়দ আহমেদ ভূইয়া এই আনারস প্রতিকে নির্বাচন করেছেন তাই এই প্রতীকটি আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার সন্তান ভাতিজা সুমন ভূইয়াও চাচ্ছে, তাই ভাবলাম তাকেই দেবার সুয়োগ করে দি । তাই আমি নির্বাচনী কর্মকর্তা কে আনারশ প্রতীকটি সুমন ভূইযা কে দিতে অনুরোধ করি তিনি আমার অনুরোধ গ্রহন করে সুমন ভূইয়া কে প্রতিকটি দেন আমি শেষে অটোরিকশা নিয়েছি।
উল্লেখ্য আগামী ২৯শে ডিসেম্বর এই ইয়ারপুর ইউনিয়নের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।